সিটি করপোরেশন ও ব্র্যাকের সহায়তায় কড়াইল বস্তি নতুন সাজে
এক মাসেরও কম সময় আগে ভয়াবহ আগুনে পুড়ে কড়াইল বস্তির গরিব বাসিন্দারা সর্বস্ব হারিয়ে ফেলে। তাদের সে দুর্ভোগ ও যাতনা কিছুটা হলেও দূর করতে এগিয়ে আসে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ও ব্রাক। বস্তিবাসিদের জন্যে নতুন করে ঘর তুলে দেয়া সম্ভব হয়েছে এ ধরনের নবপ্রচেষ্টায়।
বাঁশ, কাঠ, নতুন রঙ্গিন টিন দিয়ে ৮০টি ঘরে ফের বাস করছে পারবে বস্তিবাসিরা। বস্তিবাসিদের অধিকাংশই ছিল নির্মাণ শ্রমিক। গত ৪ ডিসেম্বর তাদের ঘরগুলো আগুনে পুড়ে যায়। আগুনে অন্তত ৫২৬টি ঘর পুড়ে গেলে ২ হাজার মানুষ এই শীতে খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নেয়। বাসিন্দাদের একজন রাশিদ মোল্লাহ জানান, তাদের ৬টি ঘর ছিল এবং এসব ঘর থেকে পাওয়া ভাড়ায় তিনি চলতেন। যদি সিটি কর্পোরেশন ও ব্রাক আমাদের পাশে না দাঁড়াত তাহলে নতন ঘরে ওঠা সম্ভব ছিল না।
স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মফিজুর রহমান জানান, ৫২৬টি ঘরই নির্মাণ করা হবে যা তদারকি করছে ৮০ জন বাড়ির মালিক। রেসপন্স ডট ব্রাক ডট নেট বলছে জানুয়ারির মাঝামাঝি এসব ঘরবাড়ি নির্মাণের কাজ শেষ হবে। এছাড়া জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় কড়াইল বস্তির ক্ষতিগ্রস্ত ৫’শ পরিবারকে ১৩ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে।
রাশিদ মোল্লা আরো জানান, সিটি কর্পোরেশন ঘরগুলো বেশ প্রশ্স্ত করে তৈরি করছে বলে কোনো দুর্ঘটনায় দ্রুত সেখান থেকে বের হয়ে আসা সম্ভব হবে। আগে ঘরগুলো ৩ মিটার চওড়া হলেও এখন তা ৬ মিটার করা হচ্ছে। বেশ কয়েকটি এনজিও বস্তিবাসিদের জন্যে কম্বল, খাবার ও থালা বাসন সরবরাহ করেছে। বস্তিবাসিদের অনেকেই স্বেচ্ছায় তাদের ঘর নির্মাণে এগিয়ে এসেছে।
তাদের একজন আমেনা বেগম জানান, তার ঘরটি সম্পূর্ণ পুড়ে গিয়েছে। তার ৮ বছরের মেয়ে মুন্নি একটি এনজিও স্কুলে পড়ে এবং তারা সেখানেই আশ্রয়ে নিয়েছে। সেখানেই মুন্নি তার বার্ষিক পরীক্ষার প্রস্তুতি নেয়। অন্য কোথায় থাকার মত খরচ যোগানের সামথ্য নেই আমেনার। এখন নতুন ঘর তৈরি হচ্ছে দেখে সে খুব খুশি।
এসব নতুন ঘরে অন্তত ৬ মাস বিনা ভাড়ায় থাকতে বাড়বেন কড়াইল বস্তিবাসিরা। তবে লেকের পাড় ঘেঁষে যেসব ঘরগুলো ছিল সেগুলো তুলতে খুঁটির প্রয়োজন হবে বলে সেখানকার একজন বাসিন্দা জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, তার পক্ষে এ ঘর তৈরির খরচ যোগানো প্রায় অসম্ভব।
মেয়র আনিসুল হক জানান, ব্রাকের সঙ্গে এক্সিম ব্যাংক ও দেশি-বিদেশি কয়েকটি এনজিও এধরনের উদ্যোগে এগিয়ে এসেছে। ডেইলি স্টার থেকে অনুবাদ
মন্তব্য চালু নেই