সিটিং সার্ভিসের পাশাপাশি ফিরলো সেই উধাও হওয়া বাসও
সিটিং সার্ভিস বন্ধে বিআরটিএর অভিযানের মুখে উধাও হয়ে যাওয়া বাসগুলো ফিরতে শুরু করেছে সিটিং সার্ভিস ফিরে আবার সঙ্গে সঙ্গে। বিআরটিএর সিটিংবিরোধী অভিযান ১৫ দিন স্থগিত করার পর পরই এই ঘটনা দেখা যায় রাজধানীতে।
পকেট কাটার অবৈধ সিটিং সার্ভিস বন্ধে গত রবিবার রাজধানীতে অভিযান শুরু করে বিআরটিএ। এই অভিযানে অংশ নেয় পরিবহন মালিক সমিতিই। আবার তারা সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে রাজধানীতে বাস সংখ্যা কমিয়ে দেয়।
বিআরটিএ চেয়ারম্যান যদিও বলেছিলেন, বাস কমিয়ে দিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে- তবু কোনো ব্যবস্থাই নেয়া হয়নি। উল্টো পরিবহন মালিকদের চাপের মুখে অবৈধ সিটিং সার্ভিসকে বৈধতা দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে তারা।
বুধবার বিআরটিএর সঙ্গে পরিবহন মালিকদের বৈঠকের পরদিন বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রাজধানীর প্রায় প্রতিটি রুটেই বাস সংখ্যা বেশি দেখা গেছে।
আশুলিয়া ইপিজেড থেকে চিটাগাং রোডের সাইনবোর্ড পর্যন্ত চলা ঠিকানা পরিবহনের যত বাস ছিল, গত চার দিন চলেছে তার অর্ধেক। আজ তার প্রায় সবগুলোই নেমেছে। এই বাসের সুপারভাইজার সাঈদ বলেন, ‘লোকাল করার কারণে অনেক ড্রাইভার আর হেলপার না পাওয়ার কারণে বাসের সংখ্যা কম ছিল অর্ধেকের মত। আজকে সবগুলো নেমেছে।’
একই পরিবহনের আরেক সুপারভাইজার নাঈম বলেন, ‘এই লাইনের গাড়ির পাশাপাশি নাম ব্যবহার করে অন্য গাড়িও চলতে পারে। সে জন্য মালিককে টাকা দিতে হয়। গত কয়দিন ধরে চলেছে কেবল মূল মালিকের গাড়ি। আজ নেমেছে বাকি সবগুলোই।’
যাত্রাবাড়ী থেকে মিরপুর, সাভার বা অন্য বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী প্রায় সবগুলো বাসের ক্ষেত্রেই একই চিত্র দেখা গেছে। ১৫ দিনের জন্য সিটিংবিরোধী অভিযান স্থগিতের পর বাসের সংখ্যা যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে ভাড়ার নৈরাজ্য। যে বাসগুলো এখন লোকাল হিসেবে চলছে, সেগুলোর সঙ্গে সিটিং নামে চলা বাসের ভাড়ায় কোনো পার্থক্য নেই।’
অতিরিক্ত ভাড়া নেয়া হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে-বিআরটিএ চেয়ারম্যানের এমন ঘোষণারও কোনো বাস্তবায়ন দেখা যায়নি।
এসব বিষয়ে জানতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েতউল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
মন্তব্য চালু নেই