সালাহ উদ্দিনের কিডনিতে সফল অস্ত্রোপচার

ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের মেদান্ত হাসপাতালে গতকাল শুক্রবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন আহমেদের কিডনিতে অস্ত্রোপচার হয়েছে।

স্থানীয় সময় বেলা ১২টার দিকে বাম কিডনিতে অস্ত্রোপচারের পর তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

তিনি দীর্ঘদিন থেকে কিডনি, ডায়াবেটিস, চর্ম, হৃদরোগ ও মেরুদণ্ডের ব্যথায় ভুগছিলেন। পাইলোপ্লাস্টি রোগের কারণে কিডনির ব্যথা বেড়ে যাওয়ায় আদালতের অনুমতি নিয়ে সালাহ উদ্দিন ২৩ ফেব্রুয়ারি দিল্লি যান। সেখানে কয়েক দিন চিকিৎসার পর ৪ মার্চ হরিয়ানায় গিয়ে হাসপাতালের পাশে একটি ভাড়া বাসায় ওঠেন। এরপর ওই হাসপাতালের কিডনি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শক্রমে অস্ত্রোপচার করান।

সালাহ উদ্দিনের এক আত্মীয় জানান, সালাহ উদ্দিনের সফল অস্ত্রোপচার হয়েছে। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী মেঘালয় রাজ্যের বাইরে যাওয়ার অনুমতি নেই সালাহ উদ্দিনের। কয়েক মাস ধরে কিডনির সমস্যা বেড়ে যাওয়ায় তিনি শিলং সুপার কেয়ার নামের একটি ক্লিনিকে তিনবার ভর্তি হন।

এর আগে গত বছর সালাহ উদ্দিনের ঘাড়ে অস্ত্রোপচার হয়। এরপর তার কিডনিতে সমস্যা দেখা দেয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসকরা জানান, তার বাম কিডনিতে জটিল পাইলোপ্লাস্টি হয়েছে। গত কয়েক মাস থেকে তিনি কিডনিতে তীব্র ব্যথা অনুভব করছিলেন।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ১০ মার্চ উত্তরার একটি বাসা থেকে বিএনপির তখনকার যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমদকে সাদাপোশাকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উঠিয়ে নিয়ে যান বলে অভিযোগ করা হয়। ওই বছরের ১১ মে ভোরে শিলংয়ের গলফ-লিংক এলাকায় তাঁকে পাওয়া যায় । প্রাথমিকভাবে কয়েক দফা চিকিৎসা দেওয়ার পর ওই বছরের জুলাইতে বিনা পাসপোর্টে ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে শিলংয়ের পুলিশ সালাহ উদ্দিনের বিরুদ্ধে ‘ফরেনার্স অ্যাক্ট-৪৬ ’-এ মামলা করেছে । ওই আইনে অনুপ্রবেশের অভিযোগ প্রমাণিত হলে সবোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই