সালাহ উদ্দিনকে অন্য দেশে নেওয়ার চেষ্টা স্ত্রীর
ভারতের মেঘালয়ের শিলং সিভিল হাসপাতালে পুলিশি হেফাজতে চিকিৎসাধীন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে দেখা করেছেন স্ত্রী হাসিনা আহমেদ। তিনি পুলিশের অনুমতি নিয়ে সোমবার ভারতীয় সময় রাত ৮টার দিকে হাসপাতালে স্বামীর সঙ্গে দেখা করেন।
বিসিসি বাংলা জানায়, এ সময় হাসিনা আহমেদের সঙ্গে বিএনপির কয়েকজন নেতাও ছিলেন। তারা প্রায় ৪০ মিনিট কথা বলেছেন।
বার্তাসংস্থাটি আরও জানায়, হাসিনা আহমেদ স্বামীর দেখাশোনা এবং চিকিৎসার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, তাকে তৃতীয় কোনো দেশে নিয়ে যাওয়া যায় কি না সে চেষ্টা তিনি করবেন। শিলং পৌঁছানোর পর হাসিনা আহমেদ সেখানকার আইনজীবীদের সঙ্গেও কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমেদ শিলং সিভিল হাসপাতালে বিচারাধীন বন্দীদের বিভাগে চিকিৎসাধীন আছেন। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. গোস্বামীর তত্ত্বাধানে তার চিকিৎসা চলছে।
দুপুরে কলকাতার দমদম এয়ারপোর্ট থেকে হাসিনা আহমেদ আসামের গৌহাটি রওনা দেন। স্থানীয় সাংবাদিকদের বরাত দিয়ে কলকাতা প্রতিনিধি জানান, হাসিনা আহমেদ ও তার বোনজামাই মাহবুব কবির গৌহাটি নেমে ট্যাক্সি করে শিলং পৌঁছান ভারতীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার দিকে। এরপর তিনি ইস্ট খাসি হিল জেলার পুলিশ সুপার এম খারক্রাংয়ের কার্যালয়ে গিয়ে সালাহ উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার অনুমতি নেন।
এর আগে, রবিবার সন্ধ্যায় ভারতের ভিসা পাওয়ার পর রাতেই কলকাতা রওনা হন হাসিনা আহমেদ।
এদিকে সোমবার সকালে শিলং সিভিল হাসপাতালের ডায়াগনস্টিক বিভাগে সিটি স্ক্যান করতে যাওয়ার পথে সাংবাদিকদের সালাহ উদ্দিন আহমেদ জানান, তাকে চোখ বেঁধে ১২ ঘণ্টা ড্রাইভ করে শিলংয়ে ফেলে রেখে যাওয়া হয়।
তিনি বলেন, ‘আমি এখানে থাকতে চাই না। আমি দাগী আসামি নই, আমি দেশে ফিরতে চাই।’
দুই মাস ধরে নিখোঁজ থাকার পর গত মঙ্গলবার মেঘালয় রাজ্যের রাজধানী শিলংয়ে খোঁজ মেলে বিএনপির এই নেতার। তার নিখোঁজ হওয়ার পেছনে র্যাবকে শুরু থেকেই দায়ী করছেন দলটির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
মন্তব্য চালু নেই