সালমানের মৃত্যু: পুনঃতদন্তের শুনানি ৭ জানুয়ারি

চিত্রনায়ক সালমান শাহর মৃত্যু মামলার পুনঃতদন্তের বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ৭ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার আংশিক শুনানির পর ঢাকা মহানগর দায়রা আদালতের বিচারক কামরুল হোসেন মোল্লা এ দিন ধার্য করেন।

এর আগে গত ১০ ফেব্রুয়ারি মামলাটি পুনঃতদন্তের জন্য র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) কে নির্দেশ দেন ঢাকা সিএমএম আদালত। এর বিপক্ষে আদালতে আবেদন করেন রাষ্ট্রপক্ষ। সালমান শাহর মা নীলুফার চৌধুরী ওরফে নিলা চৌধুরীর অভিযোগ- রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের কাছ থেকে আর্থিকভাবে লাভবান হয়ে সালমান শাহর বিপক্ষ নিয়েছে। আজ এ মামলায় আইনজীবী ফারুক হোসেন বাদীপক্ষে ও মহানগর পিপি আসামিপক্ষে শুনানি করেন।

প্রায় ১৫ বছর ধরে মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তে সিএমএম আদালত সালমান শাহর বাবা কমর উদ্দিন ও মা নীলুফার চৌধুরী ওরফে নিলা চৌধুরীসহ পাঁচ জনের সাক্ষ্য নিয়েছেন। এরপর গত ৮ ডিসেম্বর অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি- মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করেন। গত ২১ ডিসেম্বর নিলা চৌধুরী আদালতে হাজির হয়ে নারাজি দাখিলের জন্য সময় প্রার্থনা করেন।

১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ১১/বি নিউস্কাটন রোডের নিজ বাসায় ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় সালমান শাহকে পাওয়া যায়। প্রথমে হলি ফ্যামেলি হাসপাতাল, পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ নিয়ে সালমান শাহের পিতা কমর উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী একটি অপমৃত্যুর মামলা করেন। মামলাটি প্রথমে রমনা থানা পুলিশ, পরে ডিবি পুলিশের সহকারী কমিশনার হুমায়ুন কবির তদন্ত করেন। তদন্তকালে সালমান শাহের মরদেহ প্রথমে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ময়না তদন্ত করে। প্রতিবেদনে তারা সালমান শাহর মৃত্যু আত্মহত্যা জনিতকারণে হয়েছে উল্লেখ করেন। পরে সালমান শাহের পরিবার ওই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে আপত্তি দিলে লাশ কবর থেকে তুলে ফের ময়না তদন্ত করে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রতিবেদনে, লাশ অত্যাধিক পঁচে যাওয়ার কারণে মৃত্যুর কারণ নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি বলে উল্লেখ করেন।

ময়না তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৯৯৭ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ডিবি পুলিশের সহকারী কমিশনার হুমায়ুন কবির আত্মহত্যা জনিতকারণে সালমান শাহর মৃত্যু হয়েছে মর্মে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। ওই প্রতিদেনের বিরুদ্ধে বাদী পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড উল্লেখ করে নারাজি দেন। বর্তমানে র‌্যাব মামলাটির তদন্ত করছে।



মন্তব্য চালু নেই