‘সারাদিন নগ্ন করে রাখত, যখন তখন যে কেউ ছিঁড়ে খেত’

বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন শহর ভারতের বারাণসী। প্রবাদ আছে, এই শহরে মৃত্যু হলে পুণ্যলাভ হয়। কিন্তু এই আধ্যাত্মিকতায় মোড়া শহরের অন্য একটা কদর্য-ঘৃণ্য রূপ রয়েছে। যা জানলে গা শিউরে উঠবে। এ শহর থেকে প্রতি বছর হাজার হাজার মেয়ে পাচার হয়ে যায়। বাধ্য হয়ে তাদের বছরের পর বছর যৌনদাসী হিসাবে আটকে রাখা হয়।

এ নিয়েই ১৩ মিনিটের একটি ডকুমেন্টারি ‘গুড়িয়া’ তৈরি হয়েছে। বারাণসীর সেই কদর্য রূপকেই তুলে ধরার চেষ্টা হয়েছে এই ছবিতে। সম্প্রতি তিন জন এমনই পাচার হয়ে যাওয়া মেয়েকে উদ্ধার করেছে একটি এনজিও। এই পাচারচক্রে সরকার, পুলিশ এবং দেহ ব্যবসার বড় চাঁইদের মধ্যে সখ্যতার বিষয়েও আলোকপাত করা হয়েছে।

এমনই এক মেয়ে জানিয়েছেন, ১২ বছর বয়সে তিনি প্রথমবার পাচার হয়ে যান। এ কাজে প্রত্যক্ষ মদত ছিল তার প্রথম স্বামীর। শুধু একবার নয়, বন্দিদশা থেকে মুক্ত হওয়ার পর পালিয়ে ফিরে এসেছিলেন বাড়িতে। দুর্ভাগ্যবশত সেই ফেরা কাল হয়েছিল তার। কয়েক দিন পর তাকে বাড়ির সামনের দোকান থেকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়।

মীনাক্ষি বলেন, ‘আমি দোকানে জিনিসপত্র কিনতে গিয়েছিলাম। সেখামে আমার এক পরিচিত বান্ধবী এবং অজয় প্রকাশ নামে একটি ছেলে আমায় ডাকে। আমি কাছে যেতেই কী একটা নাকে চেপে ধরে আমায় গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। এর পর প্রতি দিন আমাকে ৮-১০ মিলে পালা করে ধর্ষণ করত। সেই দৃশ্য ওরা ক্যামেরাবন্দি করে রাখত। সারা ক্ষণ আমায় নগ্ন করে রাখা হত।’



মন্তব্য চালু নেই