সাপ্তাহিক ও মাসিক হারে চাঁদা নেবেন : ঢাকার ডিআইজি
পরিবহণ মালিক-শ্রমিকদের সাপ্তাহিক ও মাসিক হারে অ্যাকাউন্টে টাকা নেওয়ার পরামর্শ দিলেন ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি মাহফুজুল হক নুরুজ্জামান।
মঙ্গলবার বেলা ৩টার দিকে ঢাকা রেঞ্জ কার্যালয়ের কনফারেন্স কক্ষে ঈদে সড়ক ও মহাসড়কে নিরাপত্তা সংক্রান্ত পুলিশ ও পরিবহণ মালিক-শ্রমিকদের সমন্বয়ে আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ডিআইজি বলেন, ‘ঈদকে কেন্দ্র করে মালিক, শ্রমিক, পুলিশ ও অন্যান্য কেউ রাস্তার মধ্যে চাঁদা চাইলে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরিবহণ মালিক-শ্রমিকরা চাঁদা নিতে চাইলে ঈদের এ কয়েক দিন প্রয়োজনে সাপ্তাহিক ও মাসিক হারে অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে চাঁদা নেন। এরপরও কেউ কথা অমান্য করলে আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘ঈদে ঘরমুখী যাত্রীদের নিরাপত্তা, চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্য কমানো এবং সুশৃঙ্খলভাবে গাড়ি চলাচল করাতে পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন থাকবে। অন্যান্য বছরগুলোর তুলনায় এবারের ঈদে সব ধরনের অপরাধ বন্ধ থাকবে। অপরাধ দমনে কেন্দ্রীয়ভাবে কন্ট্রোলরুম চালুর পাশাপাশি প্রত্যেক জেলা শহরে একটি করে কন্ট্রোলরুম চালু থাকবে।’
ডিআইজি নুরুজ্জামান বলেন, ‘গত কয়েক বছরের তুলনায় এবারে দেশের রাস্তাঘাটের অবস্থা খুবই ভালো। তাই এবার ৫০-৬০ লাখ লোক ঢাকা ছাড়লেও তেমন কোনো অসুবিধা হবে না। তার পরও যারা ঢাকা শহরে বাসাবাড়িতে অবস্থান করছেন, আগে গ্রামের বাড়িতে চলে গেলেও তেমন কোনো সমস্যা হবে না, তারা দয়া করে আগেই চলে যান। এতে করে শ্রমিকরা ছুটি পেলে বাড়িতে যেতে অসুবিধা হবে না।’
তিনি আরো বলেন, ‘লঞ্চঘাট ও বাসটার্মিনালগুলোতে যাতে কেউ অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করতে না পারে, সেজন্য পুলিশ ও মালিক শ্রমিকদের পক্ষ থেকে মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’
এর আগে সকাল থেকে পুলিশ ও বাস মালিক-শ্রমিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে মহাসড়কের নিরাপত্তা নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়। এতে মালিকদের পক্ষ থেকে কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হয়। তারাও প্রতিশ্রুতি দেন যে, ঈদে ঘরমুখী যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হবে না। মালিকপক্ষের কেউ চাঁদাও নেবে না।
পুলিশ ও মালিক শ্রমিক সমন্বয় কমিটির বৈঠকে বাস মালিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহেশ চন্দ্র, মহাসচিব এনায়েত উল্লাহসহ লঞ্চমালিক প্রতিনিধি এবং ঢাকা রেঞ্জের পুলিশ সুপারগণ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য চালু নেই