সাপে কাটা রোগীকে বাঁচাতে নতুন কৌশল

চিকিৎসকের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছার আগেই সাপের কামড়ে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু কোলে ঢলে পড়ার ঘটনা হরহামেশাই ঘটে থাকে। সাপের ছোবলে আজও বহু মানুষের মৃত্যু হয় এ দেশে। বিশেষত প্রত্যন্ত অঞ্চলে। তার প্রধান কারণ সঠিক চিকিৎসার অভাব। রোগীকে হাসপাতাল পর্যন্ত নিয়ে যেতে যেতেই ফুরিয়ে যায় ‘গোল্ডেন আওয়ার’ (যে সময়ের মধ্যে প্রাণ বাঁচানো সম্ভব)। জীবনদায়ী ওষুধ আবিষ্কৃত হলেও তার প্রয়োগ হয় না। এ পরিস্থিতিই বদলাতে পারে ভারতের হিমাচলের এক অধ্যাপকের পরিকল্পনা।

গোল্ডেন আওয়ারের মধ্যেই সাপে কাটা রোগীকে কীভাবে বাঁচানো যায় সে ব্যাপারে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেন ড. ওমেশ কুমার ভারতী। যেখানে তিনি জানান, ইমার্জেন্সি অ্যাম্বুল্যান্সেই থাক ‘অ্যান্টি স্নেক ভেনম’ বা এএসভি। যাতে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই তা রোগীর শরীরে প্রয়োগ করা যাবে। পরীক্ষামূলকভাবে এরইমধ্যে তার প্রয়োগও করা হয়েছে। এবং ফল চমকপ্রদ। সঠিক সময়ে এএসএভি প্রয়োগের ফলে বহু মানুষের প্রাণ বেঁচে গিয়েছে। ওয়ার্ল্ড হেলথ অরগানাইজেশনের সাম্প্রতিক গাইডলাইনেও এই পদ্ধতি স্বীকৃতি পেয়েছে।

বেশ কিছুদিন আগেই এই কাজ শুরু করেছিলেন ওই অধ্যাপক ও তার সহযোগীরা। বিনামূল্যের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবায় তা প্রয়োগ করা হয়েছিল। যেখানে দেখা যায়, গত এক বছরে অন্তত ৪২টি প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হয়েছে। এই মডেল অন্যান্য শহরেও কাজে লাগানো হয়। এবং বহু প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হয়।

অন্যদিকে দেশটির এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চিকিৎসায় দেরি হওয়ার কারণে দেশে প্রায় ৫০,০০০ সাপে কাটা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। সেখানে ওই মডেলের সাফল্য প্রায় ৯০ শতাংশেরও বেশি। এই তথ্যই জানাচ্ছে ব্যাপক হারে বা সরকারি স্তরে এর প্রয়োগ হলে কত মানুষের প্রাণ বাঁচনো সম্ভব হবে। ডব্লিউ এইচও’র গাইডলাইনেও তাই মিলেছে এই পদ্ধতির স্বীকৃতি।



মন্তব্য চালু নেই