সান স্ট্রোক থেকে নিজেকে রাখুন নিরাপদ

হিট স্ট্রোকের অপর নামই সান স্ট্রোক। এটি এমন একটি মারাত্মক অবস্থা যখন শরীর আর ঘামের মাধ্যমে ঠান্ডা হতে পারেনা।ফলে শরীর অতিমাত্রায় গরম হয়ে যায়। যারা গরম ও আদ্র জলবায়ুতে বসবাস করে তাদের হিট স্ট্রোক হতে দেখা যায় বেশি। রোদের মধ্যে পরিশ্রমের কাজ করলে ও ডিহাইড্রেশনে ভুগলে হিট স্ট্রোক হয়। হিট স্ট্রোকের প্রধান লক্ষণ হচ্ছে হঠাৎ করেই শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া। আরো যে লক্ষণগুলো দেখা যায় তা হল- ক্লান্তি, মাথাব্যথা ও মাথা ঘোরা, ঘাম কমে যাওয়া, পেশীর সংকোচন, পালস রেট দ্রুত হওয়া, বমি বমি ভাব ও বমি হওয়া, ত্বকে লালভাব দেখা যাওয়া, শ্বাস কষ্ট হওয়া, বিভ্রান্তি এমনকি চেতনা হারানো। কিছু সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে হিট স্ট্রোক প্রতিরোধ করা যায়। সেই পদক্ষেপগুলো সম্পর্কে জেনে নিই চলুন।

১। সূর্যের প্রখর তাপ এড়িয়ে চলুন দিনের যে সময়টাতে সূর্যের তাপ অনেক বেশি থাকে (সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত) সেই সময়ে বাহির না হওয়া ভালো। যদি সম্ভব হয় তাহলে বাহিরের কাজগুলো দিনের ঠান্ডা সময়ে করুন যেমন- খুব ভোরে বা সূর্যাস্তের পর। যদি এই সময়ের মধ্যেই বাহিরে যাওয়ার প্রয়োজন হয় তাহলে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন, মাথায় ক্যাপ বা স্কার্ফ পড়ুন এবং ছায়ার মধ্যে থাকুন এবং অবশ্যই পানির বোতল রাখুন সাথে।

২। নতুন আবহাওয়া সহ্য করতে অভ্যস্ত হোন গ্রীষ্মের গরমে কাজ করতে পারার জন্য শরীরকে তৈরি করুন। তাপমাত্রার হঠাৎ পরিবর্তন অসুস্থতা সৃষ্টি করতে পারে। গরমে অনেকক্ষণ থাকার পর এসি রুমে প্রবেশের পূর্বে কিছুক্ষণ ছায়াতে থাকুন। এতে করে আপনার শরীর তাপমাত্রার পরিবর্তন সহ্য করতে পারবে। একইভাবে এসি রুম থেকে বাহির হয়ে কিছুক্ষণ ছায়ায় থাকার পর রোদে যান।

৩। সতর্কতার সাথে ব্যায়াম করুন সার্বিক সুস্বাস্থ্যের জন্য ব্যায়াম জরুরী। তবে গরমের সময় শ্রমসাধ্য ব্যায়ামগুলো দিনের বেলায় করলে দেহের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং হিট স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই শ্রমসাধ্য ব্যায়ামগুলো দিনের ঠান্ডা সময়ে করুন, আউটডোর স্পোর্টসগুলো পিক আওয়ারে খেলবেন না, ব্যায়ামের পূর্বে ও পরে পর্যাপ্ত তরল পান করুন।

৪। পেঁয়াজ খান কাঁচা পেঁয়াজ সান স্ট্রোক এড়াতে সাহায্য করে। পেঁয়াজের অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা আছে কিন্তু পেঁয়াজ শরীরকে শীতল করতে পারে এটা কি জানেন? বিশেষ করে লাল পেঁয়াজ যাতে কোয়ারসেটিন নামক রাসায়নিক উপাদান আছে, er অ্যান্টিহিস্টামিন প্রভাব আছে বলে বিশ্বাস করা হয়। হিস্টামিন যন্ত্রণাদায়ক হিট র‍্যাশের কারণ। তাই নিয়মিত পেঁয়াজ খেলে গরমের এইসব সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়াও গরমের সময়ে বিভিন্ন ধরণের ইনফেকশন থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করে পেঁয়াজ। তাই গরমে নিয়মিত পেঁয়াজ খান। গরমের সময়ে যে কারোরই হিট স্ট্রোক হতে পারে। তবে বয়স্কদের হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। যদি ঠিকমত চিকিৎসা করা না হয় তাহলে এটি প্রাণনাশক হতে পারে এবং মস্তিষ্ক ও গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের ক্ষতি করতে পারে। তাই হিট স্ট্রোক হলে চিকিৎসকের সাহায্য নিতে হবে।



মন্তব্য চালু নেই