সাম্প্রতিক সময়ে বেড়েছে বাঘ-হরিণ শিকার

সাতক্ষীরায় বাঘ ও হরিণের চামড়া উদ্ধার, আটক ৩

সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার বুধহাটায় একটি বাঘের চামড়া ও চারটি হরিণের চামড়া উদ্ধার করেছে র‌্যাব-৬। এসময় পাচারকারী চক্রের তিন সদস্য আটক হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরের দিকে উপজেলার বুধহাটা বাজার এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। আটক তিন পাচারকারী হলেন, আশাশুনি উপজেলার দূর্গাপুর গ্রামের মন্তাজ আলী মোড়লের ছেলে ইসমাইল মোড়ল (৩৫), দেবহাটা উপজেলার কড়া গ্রামের ওহাব আলী সরদারের ছেলে আবু ছালেক (৪২) ও খুলনা জেলার দাকোপ থানার কালাবগী গ্রামের মুনসুর গাজীর ছেলে আমান উল্লাহ গাজী (২৫)।

র‌্যাব-৬ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল ইনামুল আরিফ সুমন সাতক্ষীরাস্থ সুন্দবন টেক্সটাইল মিলে র‌্যাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, সুন্দরবনের বাঘ ও হরিণের চামড়া পাচার করার জন্য একটি পাচারকারী চক্র আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা বাজারে প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-৬ এর এএসপি আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে র‌্যাবের একটি চৌকস দল সেখানে অভিযান চালায় । এ সময় র‌্যাব সদস্যরা সেখান থেকে একটি বাঘের ও ৪টি হরিণের চামড়াসহ তিন পাচারকারীকে হাতে নাতে আটক করে। এ রিপোপর্ট লেখা পর্যন্ত র‌্যাবের ডিএডি নুরুল আমিন বাদী হয়ে আশাশুনি থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ৫ ফেব্রুয়ারী র‌্যাব সদস্যরা তালা উপজেলার কুমিরা এলাকা থেকে দ্বীন মোহাম্মদ গাইন নামের এক পাচারকারীকে একটি বাঘের চামড়াসহ গ্রেপ্তার করে। এর পর গত ১৩ ফেব্রুয়ারী কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা থেকে দুইটি হরিণের চামড়া উদ্ধার করে। এ ঘটনায় কোন চোরাকারবারী গ্রেপ্তার হয়নি। এর আগে ২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবর রাতে শহরের ইটাগাছা এলাকা থেকে দুটি বাঘের চামড়াসহ ৬ ব্যাক্তিকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

সাতক্ষীরা-খুলনাঞ্চলে সুন্দরবনকে ঘিরে সাম্প্রতিক সময়ে বাঘ ও হরিণ শিকার বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মনে করছেন পরিবেশবিদরা। তারা আশংকা করছেন, অচিরেই এর মূল হোতাদের আটকাতে না পারলে বাঘ ও হরিণের বংশবৃদ্ধি হুমকির মধ্যে পড়বে। আর অভয়ারণ্য থেকে হারিয়ে যেতে পেরে সুন্দরবনের ঐতিহ্য বাঘ ও হরিণ।



মন্তব্য চালু নেই