সাতক্ষীরার খবর (০৫/০৭/১৪)

## সাতক্ষীরার পোশাক মার্কেটগুলোতে এখনো লাগেনি ঈদের হাওয়া
জেলা প্রতিনিধি,সাতক্ষীরা ॥ পবিত্র মাহে রমজানের ছয় দিন পার হয়ে গেলেও সাতক্ষীরার পোশাক মার্কেটগুলোতে এখনো লাগেনি ঈদের হাওয়া। ঈদকে সামনে রেখে বাহারি ডিজাইন আর মডেলের পোশাকের সরবরাহ থাকলেও মার্কেটগুলো অনেকটাই ক্রেতাশূন্য। রিমঝিম বৃষ্টিতে ক্রেতাদের অপেক্ষায় অলস সময় পার করছেন বিক্রেতারা। তবে বিক্রেতাদের মতে রমজনের প্রথম দশ দিন পার হলে ক্রেতাদের উপস্থিতি বাড়বে। মাসাক্কালী, আশিকী, পাখি, আনারকলি, এরকম বাহারী নামের রং বেরংয়ের ঈদ পোশাক শোভা পাচ্ছে জেলার বিভিন্ন শপিং মলে। থরে থরে সাজিয়ে রাখা এসব পোশাক খুব সহজেই ক্রেতাদের নজর কাড়বে এমন আশা করেছিলেন বিক্রেতারা। তবে তাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী হচ্ছে না বেচাকেনা। সাতক্ষীরার চায়না বাংলা শপিং কমপ্লেক্স, সাতক্ষীরা শপিং সেন্টার, বিগ বাজার শপিং কমপ্লেক্স, আমিনিয়া মার্কেট, নাহার প্লাজা, লন্ডল প্লাজা, নিক্সন মার্কেট, ইসলামীয়া মার্কেট সহ বিভিন্ন মার্কেটের বিক্রেতারা বলেন, “এবছর ঈদের মার্কেট এখনো জমে উঠেনি। ক্রেতাদের সংখ্যা একেবারেই কম। সব ধরনের পোশাকই আনা হয়েছে এবার। একটু আনকমন আনার চেষ্টা করেছি। এখন আমরা ক্রেতার অপেক্ষায়। রমজানের প্রথম দশ দিন পার হলেই ক্রেতার সংখ্যা বাড়বে।” এদিকে অনেক মার্কেটে ইতিমধ্যে ক্রেতারা তাদের পছন্দের পোশাক কিনতে শুরু করেছেন। প্রথম দিকে ভিড় কম থাকায় সুযোগটি হাতছাড়া করছেন না অনেকেই। তবে এমন ক্রেতার সংখ্যা অনেক কম।

## সাতক্ষীরার ২৫০ শয্যা হাসপাতাল চালুর দাবীতে মানববন্ধন
জেলা প্রতিনিধি,সাতক্ষীরা ॥ সাতক্ষীরার ২৫০ শয্যা হাসপাতাল নির্মান সম্পন্নসহ চালুর দাবীতে হাসপাতালের সামনে সাতক্ষীরা-কালিগঞ্জ সড়কের বাঁকালে সড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন করেছে মেডিকেল কলেজ ছাত্র-ছাত্রীরা। আজ শনিবার বেলা ১২ টায় এ মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন, মেডিকেল কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মিজানুর রহমান তানভীর, শরীফ আহমেদ, সব্য সাচী, অরিন আক্তার, নজরুল ইসলাম প্রমুখ। তারা বলেন, ২৫০ শয্যা হাসপাতালের নির্মানাধীন ভবন ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও অদ্যবধি তা নির্মাণ সম্পন্নসহ চালু হয়নি। কলেজ থেকে প্রায় ৪ কিঃ মিঃ দুরে যেয়ে সদর হাসপাতালে তাদের ব্যবহারিক বিষয়গুলো শিখতে হয়। সেখানেও বিভিন্ন সরঞ্জামাদির অভাবে লেখাপড়ার মারাত্মক বিঘœতা সৃষ্টি হচ্ছে। যা ভবিষ্যতে তাদের পেশাগত জীবনে বিরুপ প্রভাব ফেলবে বলে তারা বলেন।

## গর্ভস্থ শিশু হত্যার অভিযোগে সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিদর্শকের অফিস ঘেরাও
জেলা প্রতিনিধি,সাতক্ষীরা ॥ গর্ভস্থ শিশুকে হত্যার অভিযোগে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার অফিস ঘেরাও করেছে গ্রামবাসীরা। শনিবার দুপুর ১২ টা থেকে ঘণ্টাব্যাপি সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তাকে গ্রামবাসি ঘেরাও করে। তদন্ত কমিটি গঠণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার শর্তে ঘেরাও প্রত্যাহার করা হয়। কালীগঞ্জ উপজেলার ভাড়াশিমলা গ্রামের বাবু শাহজি জানান, তার ভাগ্নি দক্ষিণ শ্রীপুর গ্রামের মীনা খাতুনের সঙ্গে কুলিয়া গ্রামের আব্দুর রউফের দেড় বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তারা তাদের (মামা) বাড়িতে থাকত। তিনি আরো জানান, অন্তঃস্বত্বা ভাগ্নি মীনা খাতুনের চেকআপের জন্য তার স্ত্রী আনোয়ারা বেগমের সঙ্গে গত মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে কালীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। ১২ দিন পর মীরার সম্ভাব্য সন্তান প্রসবের দিন উল্লেখ করে ডাঃ অনন্যা সরকার তাকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন। সে অনুযায়ি মীরাকে কালীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরদিন ডাঃ অনন্যা সরকার একটি ইনজেকশান পুশ করার পর মীরার গর্ভস্থ সন্তান মারা যায়। অপারেশন করে মৃত সন্তান বের করানোর কথা বললে ডাঃ অনন্যা সরকার ও ডাঃ মাহবুব অন্যত্র নিয়ে যেতে বলেন। সে অনুযায়ি তারা দেবহাটার সখীপুরে ডাঃ শাজাহান আলীর আহছানিয়া ক্লিনিকে নিয়ে রাতেই অপারেশন করিয়ে মৃত কণ্যা সন্তান প্রসব করানো হয়। বাবু শাহজী, ভাড়াশিমলা ইউপি’র ৬নং ওয়ার্ড সদস্য জাহাঙ্গীর আলম ডালিমসহ কয়েকজন জানান, ডাঃ অনন্যা সরকারের ভুল চিকিৎসার কারণে মীনার গর্ভস্থ সন্তান মারা যায়। তারা অনন্যা সরকারকে শিশু হত্যাকারি হিসেবে দায়ী দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে উপজেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শকের অফিস ঘেরাও করে। অনন্যা সরকারের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দেওয়া হবে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ০১৭১২-২৩০৬৩০ নং মোবাইলে ডাঃ অনন্যা সরকার জানান, তিনি ব্যস্ত রয়েছেন। কথা বলা সম্ভব নয়। কালীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিদর্শক ডাঃ আবুল কালাম আজাদ বলেন, এ নিয়ে আজই তদন্ত কমিটি গঠণ করা হবে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



মন্তব্য চালু নেই