সাতক্ষীরার কুশখালি সীমান্তে শিশু হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার-৪

প্রতিনিধি, সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার সীমান্তবর্তী কুশখালী এলাকায় শিশু হত্যার অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে কুশখালী গ্রাম থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন,ওই গ্রামের মুজিবর রহমানের ছেলে ইব্রাহিম খলিল (৩৩),তার ভাই ই¯্রাফিল(২৮),মা পুতি খুকি ও ই¯্রাফিলের স্ত্রী তামান্না।

গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে তামান্নার কাছ থেকে প্রাথমিক তথ্যের উদ্ধৃতি দিয়ে সদর থানার এস আই আবুল কালাম জানান,মঙ্গলবার বিকেলে শিশু ফাহিম কুশখালী গ্রামের মুজিবর রহমানের দোকানে বসে ছিল। মুজিবর রহমান শিশু ফাহিমকে দিয়ে তাদের বাড়ীতে এক কেজি মাংস পাঠায়। ফাহিম মাংসের প্যাকেটটি মুজিবর রহমানের বাড়ীতে একটি ভ্যানে রেখে এসে আবারো দোকানে বসে। পরক্ষনে ভ্যানে রাখা মাংস কুকুরে খেয়ে ফেলে।

ফাহিম মাংসের প্যাকেটটি ভ্যানে রাখার অপরাধে মুজিবরের পুত্র ইব্রাহিম ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। সে ফাহিমকে দোকান থেকে ধরে বাড়ীতে এনে ব্যাপক মারধর করে। একপর্যায়ে পেটে লাথি মারলে শিশু ফাহিম মারা যায়। পরে তার মরদেহ সীমান্ত এলাকার একটি পাটক্ষেতে ফেলে রাখা হয়।

প্রসঙ্গত, দুদিন নিখোঁজ থাকার পর গত বুধবার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরার কুশখালি সীমান্তের একটি পাটক্ষেতে শিশু ফাহিম আহমেদের (৮) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সে সদর উপজেলার মৃগিডাঙ্গা গ্রামে মালয়েশিয়া প্রবাসী মনিরুল ইসলামের ছেলে। কুশখালি সীমান্তের মেইন পিলার ১২ থেকে ২০০ গজ বাংলাদেশ অভ্যন্তরে তার লাশটি পড়ে ছিল। এ সময় তার নাক ও কানে রক্তপাতের চিহ্ণ দেখা দেখা গেছে বলে জানায় পুলিশ।

সাতক্ষীরা সদর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম জানান, মায়ের সাথে কুশখালি গ্রামে নানা হাজি মোহাম্মদ আলির বাড়িতে থাকতো ফাহিম।

তার পারিবারিক সূত্রের বরাত দিয়ে তিনি আরও জানান ফাহিম মঙ্গলবার সকাল থেকে নিখোঁজ ছিল। বিষয়টি পরে পুলিশকেও জানিয়েছিল তারা। বুধবার সন্ধ্যায় এক ব্যক্তি পাটক্ষেতে যেয়ে তার লাশটি দেখতে পুলিশকে খবর দেন। পরে লাশটি উদ্ধার করা হয়। এঘটনায় নিহতের চাচা সিদ্দিক গাজী বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা করেন। মামলা নং-৩৬/১৬.০৬.১৬।



মন্তব্য চালু নেই