ঈদ আনন্দ বঞ্চিত

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা স্বাক্ষর না করায় বেতন না পেলোনা সিএইচসিপিরা

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা স্বাক্ষর না করে ঢাকায় ঈদ করতে চলে যাওয়ায় বেতন উত্তোলন করতে পারলেন না সাতক্ষীরার কলারোয়ার কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি)রা। বেতন না পাওয়ায় ঈদের আনন্দ মলিন হয়ে পড়েছে উপজেলার ২৫জন সিএইচসিপিদের পরিবারের। বেশ কিছুদিন আগেই সরকার ২৭ জুলাইয়ের মধ্যে বেতন ও অন্যান্য ভাতাদি প্রদাণের নির্দেশণা দিলেও তার তোয়াক্কা নেই কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষের। কর্তৃপক্ষের চরম দায়িত্বহীনতা ও উদসিনতায় বেতন ও আনুাসাঙ্গিক ভাতাদি না পাওয়ায় ঈদের আনন্দ মলিন হতে চলেছে এসকল সিএইচসিপিদের। জানা গেছে, রবিবার শেষ কর্মদিবসে এ মাসের বেতন প্রদাণের কথা থাকলেও বেতন বিলে স্বাক্ষর না করে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (টিএইচও) ডা. তওহীদুর রহমান ঢাকায় চলে যান তার পরিবারের সাথে ঈদ উদযাপন করতে। ফলাফল স্বরূপ ঈদপূর্ব মুহুর্তেও বেতন পেলো না জনগণের দ্বারগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকারী সিএইচসিপিরা। অন্যান্য উপজেলা গুলোতে সিএইচসিপিরা যথারীতি বেতনভাতাদি উত্তোলন করতে পারলেও কেন ব্যতিক্রম শুধু কলারোয়াতে হলো এর সদুত্তর মেলেনি। মিলেছে ৩নং হাত ‘অজুহাত’। এ বিষয়ে টিএচও ডা.তওহীদুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, ‘রবিবার দুপুরে ইন্টারনেটে জানতে পেয়েছেন বেতন বিলের বিষয়ে। ঢাকায় থাকায় জোহরের নামাজের পর হেড অফিসে গিয়ে বিল বাজেট নিয়েছি। ২৫জনের বিল ভাউসার তৈরি না থাকায় বেতন দেয়া সম্ভব হয়নি। ঈদের পরেই তাদের বেতন দেয়া হবে। এব্যাপারে আমার স্বদিচ্ছার কোন অভাব নেই।’ স্বদিচ্ছার অভাব থাকুক বা না থাকুক দায়িত্ববান ব্যক্তির সামান্যতম দায়িত্বহীন কর্মকান্ডের জন্য পরিবার পরিজন নিয়ে ঈদ আনন্দ মলিন হতে চলেছে ভূক্তভোগীদের। কেননা অন্যান্য উপজেলাতে বেতন প্রদাণের বিষয়ে তেমন কোন অসুবিধা না হলেও কেন এমনটি হলো কলারোয়ায়? আর ছুটি নিয়ে চলে যাওয়ার আগে অন্যের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি ও বঞ্চিত করার আগে দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের দায়িত্ববান হওয়া বাঞ্চণীয় বলে মনে করছেন অনেকে।



মন্তব্য চালু নেই