সাতক্ষীরার কলারোয়ায় পাচারের ছয় মাস পর এক তরুনী উদ্ধার

পাচারের ছয় মাস পর এক তরুনীকে উদ্ধার করেছে কলারোয়া থানা পুলিশ। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ৯ টায় কলারোয়া বাসষ্টান্ড থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
কলারোয়া থানার এস আই হারাধন কুন্ডু জানান, গত ডিসেম্বর মাসে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার বন্দকাটি গ্রামের কলুপাড়ার জবেদ আলীর মেয়ে রেকসোনা খাতুন (১৭) ও রশিদা খাতুন (২৩) কলারোয়া উপজেলার কাদপুর গ্রামে ভগ্নিপতির বাড়ি বেড়াতে আসে। এসময় ভগ্নিপতি আলমগীর হোসেনের প্রতিবেশী কাদপুর গ্রামের সামছুর রহমানের ছেলে মিলন হোসেন ও তার বন্ধু আব্দুল জলিলের ছেলে মন্টু গোলদারের সাথে পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে তাদের সাথে দুই বোনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে ওই সম্পর্কের জের ধরে দুই বোনকে বেশী বেতনে চাকরি দেয়ার নাম করে ভারতে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়। এসময় রেকসোনা ভারতে যেতে রাজি হলেও বড় বোন রাশিদার দ্বিমত পোষন করে। মিলন ও তার বন্ধু মন্টু রেকসোনাকে নিয়ে ভারতের মুম্বাই শহরের অন্ধ গলিতে বিক্রি করে। বিষয়টি জানতে পেরে রশিদা গত ছয়মাস যাবত তার বোনকে উদ্ধারের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। পরে রশিদা বাদি হয়ে গত ১২ মে ১৪ তারিখে সাতক্ষীরা আদালতে একটি মামলা দায়ের করে। যার নং -১৬/১৪। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি এজাহার ভূক্ত করার জন্য কলারোয়া থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। নির্দেশ পেয়ে থানা পুলিশ কলারোয়া থানায় পাচার আইনে মামলা (নং-১৭(৬)১৪ রেকর্ড করে। ঘটনার জের ধরে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এস আই হারাধন কুন্ডু সোমবার সকাল সাড়ে ৯ টায় কলারোয়া বাসষ্টান্ড থেকে পাচার হওয়া রেকসোনাকে উদ্ধার করে।
বিষয়টি কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মুন্সী মোফাজ্জেল হোসেন কনক নিশ্চিত করে বলেন উদ্ধার করা ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষা ও ১৬৪ ধারায় তার জবান বন্দি রেকর্ড করার জন্য সাতক্ষীরা আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই