সাক্ষ্য-প্রমাণ হাতেই, বদরুলের দ্রুত বিচার করুন
সিলেটের সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী খাদিজার ওপর হামকারী বদরুলের বিরুদ্ধে তথ্য-প্রমাণ হাতে থাকায় তার বিচার রদ্রুত শেষ করার জন্য দাবি জানিয়েছেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক। তিনি বলেছেন, দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের চেয়ে কম সময়ে বিচার করতে হবে বদরুলের।
রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালের নিউরো বিভাগে চিকিৎসাধীন খাদিজাকে দেখাতে বুধবার সেখানে গিয়েছিলেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান। সেখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এই দাবি জানান তিনি।
এদিকে স্কয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, খাদিজার শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে।
সোমবার সিলেটের সরকারি মহিলা কলেজের স্নাতক (পাস) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী খাদিজা এমসি কলেজে পরীক্ষা দিয়ে ফেরার পথে খাদিজাকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসম্পাদক বদরুল ইসলাম। পালিয়ে যাওয়ার সময় বদরুলকে ধরে পিটুনি দিয়ে পুলিশে দেয় স্থানীয় লোকজন। তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। সে ওসমানী মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন।
সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত খাদিজাকে প্রথমে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে তাকে পাঠানো হয় স্কয়ার হাসপাতালে।
বুধবার স্কয়ার হাসপাতালের সহযোগী মেডিকেল পরিচালক মির্জা নাজিমুদ্দিন জানান, খাদিজার অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে। তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা নাজিমুদ্দিন বলেন, তাকে বিদেশে পাঠানোর মতো শারীরিক অবস্থা তার নেই।
এদিকে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বুধবার খাদিজাকে দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘খাদিজার চিকিৎসার দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে। খাদিজার ঘাতকের বিচারের যে আশ্বাস স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দিয়েছেন, সেটি আমরা বাস্তবে দেখতে চাই।’
মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, খাদিজার বিচারের জন্য দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল নয়, এর চেয়েও কম সময়ে বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। খাদিজার ঘাতকের বিচার করতে দেরি করার কোনো কারণ নেই। তার ওপর হামলাকারী গ্রেপ্তার আছে, তথ্য-প্রমাণ সবকিছুই পুলিশের হাতে। সুতরাং চার্জশিট দিয়ে বিচারের কাজ দ্রুত শেষ করতে হবে।’
খাদিজাকে কুপানোর দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে ব্যাপকভাবে। একই সঙ্গে খাদিজা মারা গেছেন-এমন গুজব ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন খাদিজার খালাতো ভাই সুমন সিদ্দিক। তিনি জানান, মিথ্যা প্রচারণা না চালানোর অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলছেন, খাদিজার অবস্থা আগের চেয়ে উন্নতির দিকে যাচ্ছে। অচিরেই খাদিজা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবে বলে আশা করছেন তিনি।
হামলায় মারাত্মক আহত খাদিজা জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। চাপাতির আঘাতে তার মাথার খুলি ও হাতের বিভিন্ন অংশ ক্ষতবিক্ষত হয়েছে
মন্তব্য চালু নেই