সাঈদী জেলে: আমির পদ নিয়ে তোরজোড়

জামায়াতে ইসলামীতে আমির পদ নির্বাচন নিয়ে গোপনে চলছে তোরজোড়। ইতিমধ্যে নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনারও নিযুক্ত করা হয়ে গেছে। এখন শুধু জামায়াতে নায়েবে আমীর মওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদিকে নিয়ে বিপাকে রয়েছে দলটি।

তবে আমির পদে নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় দলের ভেতরে দুটি চিন্তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে বলে জামায়াতের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র প্রথম আলোকে জানিয়েছে। তিন সদস্যের আমির প্যানেলে কারা নির্বাচিত হয়ে আসেন, তা নিয়ে নীতিনির্ধারকেরা চিন্তায় আছেন।

বর্তমানে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কমিটিতে চারজন নায়েবে আমির আছেন। তাঁরা হলেন মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মাওলানা আবদুস সুবহান ও আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী এবং বর্তমান ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমাদ ও নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান। গঠনতান্ত্রিকভাবে এই চারজনের মধ্য থেকেই আমিরের প্যানেল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী ও সেক্রেটারি জেনারেল মুজাহিদের ফাঁসির দণ্ড কার্যকর হওয়ায় পদ দুটি বর্তমানে স্থায়ীভাবে শূন্য রয়েছে। খালি আছে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদ। দলটির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, আমির নির্বাচনের পর তিনি সেক্রেটারি জেনারেল মনোনীত করেন।

দলীয় সূত্রগুলো বলছে, এই ধারা এখনো সক্রিয় আছে। সে ক্ষেত্রে দণ্ডিত বলে সাঈদীকে আমির প্যানেল থেকে বাদ দেওয়া হলে তাঁকে যাঁরা পছন্দ করেন এমন সদস্যদের কাছ থেকে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার আশঙ্কা থাকছে।

দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, মজলিশে শ‌ুরা (সদস্যসংখ্যা ২৭৭) আমির পদে প্রার্থিতার জন্য তিনজনের প্যানেল নির্বাচন করে। এরপর সারা দেশের রুকনরা (শপথধারী সদস্য, সংখ্যায় ৪২ হাজার) ভোট দিয়ে আমির নির্বাচন করেন।

এ অবস্থায় ভোটাভুটিতে দণ্ডিত সাঈদী প্যানেলে এসে গেলে এবং শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে জিতে গেলে তাঁর প্রতি সরকারের আক্রোশ বাড়বে বলে দলের ভেতরে আলোচনা তৈরি করা হচ্ছে। তাঁদের যুক্তি, ইতিমধ্যে সাঈদীর ফাঁসির দণ্ড চেয়ে সরকারপক্ষ আপিল বিভাগে রিভিউ আবেদন করে রেখেছে।

এ অবস্থায় দলের একটি অংশ ঐক্য ও সংহতি রক্ষার স্বার্থে সাঈদীকে আমির বানিয়ে মকবুল আহমাদকে ভারপ্রাপ্ত রেখে কাজ চালিয়ে নেওয়ার পক্ষপাতী বলেও জানা গেছে।



মন্তব্য চালু নেই