সর্বকালের সেরা নারী র‍্যাপার

শুরু থেকেই র‍্যাপ গানের আলাদা শ্রোতা ছিল। সময়ের সঙ্গে সে সংখ্যা কমেনি বরং অনেকাংশে বেড়েছে। অনেক টিভি চ্যানেলও তৈরি হয়েছে র‍্যাপ গানকে কেন্দ্র করে।

র‍্যাপ গানকে মূলত হিপ-হপ গান বলা হয়। আর যারা এই গান করেন তাদেরকে র‍্যাপার বলেই সবাই জানে। ক্রমাগত শব্দের ফাঁদে বেড়ে ওঠা এই গান গাওয়ার প্রথা ১৫০০ সালের দিকে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শুরু হয়। পরে জনপ্রিয়তা পাওয়ার কারণে জোহানেসবার্গে ১৫৪১ সালে প্রথম এই হিপ-হপ গান রেকর্ড করা হয়।

প্রথম দিকে পুরুষেরা এই গান গাইলেও আঠার শতকের শেষের দিকে নারীরাও হিপ-হপ গান গাইতে শুরু করেন। তাদের অংশগ্রহণে হিপ-হপ গানের জনপ্রিয়তা আরও তুঙ্গে ওঠে। বর্তমান সময় পর্যন্ত হিপ-হপ গান গেয়ে যে সকল নারী হিপ-হপ কিংবদন্তীর আসনে নিজেকে বসিয়েছেন তাদের সেরা কয়েকজনকে নিয়ে আজকের এ আয়োজন।

সল্ট-এন-পেপা : আমেরিকান বিখ্যাত দুই নারী র‍্যাপার শেরিল জেমস এবং সান্দ্রা ডেন্সন কে একত্রে বলা হয় সল্ট-এন-পেপা। ক্যারিয়ারের শুরুতেই এই দুজনকে একসাথে চিনেছে হিপ-হপ বিশ্ব। দুজন একসাথে বিখ্যাত হয়ে উঠেন যখন তাদের ডুয়েট গান ‘পুশ ইট’ মুক্তি পায়। ১৯৮৫ সালে এ দুজন মিলে প্রতিষ্ঠা করেন ‘ফিমেল র‍্যাপার গ্রুপ’। সল্ট-এন-পেপা এ পর্যন্ত প্রায় বারোটির বেশি বিখ্যাত পুরস্কার জিতেছেন। তাদের প্রথম অ্যালবাম ‘হট, কুল অ্যান্ড ভিসিওস’ রিলিজ পায় ১৯৮৬ সালে। সল্ট-এন-পেপার অ্যালবামের সংখ্যা পাঁচটি হলেও এ পর্যন্ত তারা একাধিক মিউজিক শোতে যোগ দিয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছেন।  সল্ট-এন-পেপা

কুইন লতিফা : কুইন লতিফা নামে সর্বাধিক পরিচিত আমেরিকান এই র‍্যাপারের প্রকৃত নাম ‘ডেইনা এলাই নোয়েন্স’। মূলত অভিনেত্রী হলেও ১৯৮৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত অ্যালবাম ‘অল হেইল দ্য কুইনের’ গানের মাধ্যমে তিনি হিপ-হপ গানের জগতে পৃথিবীব্যাপী সাড়া ফেলে দেন। এরপর র‍্যাপ গানে সলো ভার্সন গাওয়ায় অন্য এক উচ্চতায় পৌঁছান লতিফা। তার মাধ্যমে বহু র‍্যাপার র‍্যাপ গানের সাথে যুক্ত হয়ে সুনাম অর্জন করেছেন।  এ পর্যন্ত সাতটি অ্যালবাম মুক্তি পেলেও লতিফা হলিউডের প্রায় চল্লিশটির অধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন। পেয়েছেন বহু সন্মাননা। লতিফা অভিনীত ‘মিরাকেল ফ্রম হেভেন’ সিনেমাটি মুক্তির অপেক্ষায়। প্যাট্রিকা রিগ্যান পরিচালিত সিনেমাটিতে তার সহশিল্পী হিসেবে রয়েছেন জেনিফার গারনার, ক্যালি রজারসের মতো অভিনয়শিল্পীরাও।

কুইন লতিফা

লরেন হেইল :  প্রথম দিকে সাধারণ সলো গান দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করলেও আমেরিকান হিপ-হপ গ্রুপ ‘ফুজেস’এর সাথে যুক্ত হয়ে র‍্যাপ গানে খুব অল্প সময়ে সাফল্য পান লরেন। এরপর ১৯৯৮ সালে ‘দ্য মেসাডুকেশান অব লরেন’ মুক্তি পেলে সমগ্র সংগীত বিশ্বে হিড়িক পড়ে যায়। লরেন হয়ে ওঠেন অনবদ্য। হিপ-হপ গানের জন্য এ পর্যন্ত পাঁচবার তিনি গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন। তার এ অ্যালবামটি গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডের অ্যালবাম অব দ্য ইয়ারের তকমাও গায়ে লাগিয়েছে। চল্লিশ বছর বয়সী এই সংগীতশিল্পীর এ পর্যন্ত মুক্তিপ্রাপ্ত অ্যালবামের সংখ্যা চার। এ ছাড়া তিনি সিনেমায় অভিনয় করেও যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছেন।

লরেন হেইল

মিসি এলিয়ট : হিপ-হপ  বিশ্বের সব চেয়ে নামকরা উদ্ভাবনী ক্ষমতাসম্পন্ন র‍্যাপার হলেন মিসি এলিয়ট। একাই হিপ-হপ সংগীতকে দিয়েছেন একাধিক নতুনত্ব। ১৯৯৭ সালে যখন তার প্রথম অ্যালবাম ‘সুপা ডুপা ফ্লাই’ মুক্তি পায় এটা সব রেকর্ড ভেঙে দিয়ে অল্প দিনেই প্রায় ৩০ মিলিয়ন কপি বিক্রি হয়। তার এ অ্যালবামের গানগুলোতে হিপ-হিপের নতুন রীতির কারণেই হিপ-হপ শ্রোতাদের প্রচুর প্রশংসা কুড়াতে সক্ষম হয়েছিল। ৪৪ বছর বয়সী এই আমেরিকান র‍্যাপারের মুক্তিপ্রাপ্ত অ্যালবামের সংখ্যা পাঁচটি। তার সর্বশেষ অ্যালবাম ‘দ্য কুকবুক’ মুক্তি পায় ২০০৫ সালে।

মিসি এলিয়ট

ইভ : ইভ১৯৯৯ সালে প্রথম অ্যালবাম ‘লেট দেয়ার বি ইভ’ মুক্তির পরই বিশ্বব্যাপী আলোচনায় চলে আসেন আমেরিকান হিপ-হপ শিল্পী ইভ। তার পুরো নাম ইভ জিহান জেপার-কুপার। গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত এই হিপ-হপ কন্যা সংগীত ছাড়াও চলচ্চিত্রাভিনেত্রী হিসেবে যথেষ্ট পারদর্শিতা দেখিয়েছেন। ইভের সর্বশেষ অ্যালবাম ‘লিপ লক’ মুক্তি পায় ২০১৩ সালে। ৩৭ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী একাধিক গান রচনা করে প্রশংসাও কুড়িয়েছেন।

 

 

 



মন্তব্য চালু নেই