সরকার শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, আস্থা রাখুন
শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধা আছে জানিয়ে সরকারের উপর আস্থা রাখতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
তিনি বলেছেন, সরকার শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। শিক্ষকদের সম্মান সবার উপরে। শিক্ষকদের দাবির প্রতি আমরা গুরুত্ব দিয়েছি।
শুক্রবার (০৯ অক্টোবর) সকালে বেসরকারি আহছানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটরিয়ামে চতুর্থ জাতীয় শিক্ষক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
অষ্টম জাতীয় বেতন স্কেল ঘেষণার পর পদমর্যাদা অবনমনের প্রতিবাদ এবং বেতন বৈষম্য নিরসনের জন্য আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষকরা।
চলতি মাসের মধ্যে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের স্বতন্ত্র বেতন কমিশন গঠন এবং পদমর্যাদার সমস্যা নিরসন না হলে ১ নভেম্বর থেকে লাগাতার কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, আমরা শিক্ষকদের সঙ্গে বসেছি, দীর্ঘ আলোচনা করেছি। আমাদের উপর আস্থা রাখতে হবে। শিক্ষকদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের শ্রদ্ধা আছে, সম্মান আছে। বেতন বৈষম্য নিরসন সংক্রান্ত জাতীয় কমিটি পুর্নগঠন করা হয়েছে। এই কমিটি শিগগিরই কাজ শুরু করবে।
‘ভবিষতে শিক্ষকদের সব থেকে বেশি বেতন ও মর্যাদা দেওয়া হবে’ জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষকরা এক নম্বর ব্যক্তি হবেন সেটাই আমাদের চেষ্টা।
শিক্ষকদের নিবেদিতপ্রাণ হয়ে শিক্ষা দেওয়ার আহ্বানও জানান মন্ত্রী।
শিক্ষকদের ক্লাস-পরীক্ষা এবং শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে কীভাবে দ্রুত সমস্যা সমাধান করা যায় সে বিষয়ে পরামর্শ চান নাহিদ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় শিক্ষকদের মর্যদা ঘুরপাক খাচ্ছে।
সেই সঙ্গে শিক্ষকের হাতে ছাত্রী লাঞ্ছনা, শিক্ষকদের বোমা তৈরির খবর এবং রাজনৈতিক দলের লেজুড়বৃত্তিতে হতাশা প্রকাশ করেন তিনি।
‘তবে এর বাইরেও অধিকাংশ শিক্ষক রয়েছেন’ জানিয়ে তিনি বলেন, অবশ্যই শিক্ষকদের বেতন-ভাতা ও মর্যাদার ব্যাপারে আপোষ করা যাবে না।
শিক্ষাখাতে বাজেট বরাদ্দ বাড়ানোর ওপরও জোর দেন রাশেদা কে চৌধুরী।
সম্মেলনে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরিটাস অধ্যাপক মনজুর আহমদ মূল প্রবন্ধে শিক্ষকদের বর্তমান সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি ১০বছর মেয়াদী কর্মপরিকল্পনা তৈরি করার পরামর্শ দেন।
এই কর্মপরিকল্পনায় জাতীয় শিক্ষা সেবা কোর গঠন, স্নাতক পর্যায়ে শিক্ষকদের জন্য বিশেষ প্রোগ্রাম চালুর সুপারিশ করেন অধ্যাপক মনজুর।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আহছানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এএমএম সফিউল্লাহ।
ঢাকা আহছানিয়া মিশনের প্রেসিডেন্ট কাজী রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে মিশনের নির্বাহী পরিচালক এম এহছানুর রহমান, বাংলাদেশ লিটারেসি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য দেন।
বাংলাদেশ লিটারেসি অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে সম্মেলন অনুষ্ঠানে সহযোগিতা করে ঢাকা আহছানিয়া মিশন, গণসাক্ষরতা অভিযান এবং আহছানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনে বিভিন্ন পর্যায়ের দুই শতাধিক শিক্ষক অংশ নিচ্ছেন।
মন্তব্য চালু নেই