সরকার ভাষাশহীদদের সর্বোচ্চ সম্মানে কাজ করছে

সরকার বায়ান্নর ভাষাশহীদদের সর্বোচ্চ সম্মানের জন্য কাজ করছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

মন্ত্রী বলেছেন, “ভাষাশহীদদের স্মৃতি রক্ষার জন্য আমরা সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শহীদ মিনার তৈরির উদ্যোগ নিয়েছি। দেশবাসী স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভাষাশহীদদের সম্মানে এ কাজে এগিয়ে এসেছে।”

শনিবার বিকালে ফরিদপুর শহরের অম্বিকা মেমোরিয়াল ময়দানে শহীদ মিনার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই কথা বলেন তিনি।

ভাষা আন্দোলনের ৬৮ বছরেও ফরিদপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার না হওয়ার কথা উল্লেখ করে এলজিআরডি মন্ত্রী বলেন, “আমার কষ্ট লাগে ভাষা আন্দোলনের এত দিনেও ফরিদপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার হয়নি। তা হলে এত দিন যারা সরকারের দায়িত্বে ছিলেন তারা কী করেছে! তবে আজ ফরিদপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার উদ্বোধন করতে পেরে সেই কষ্ট কিছুটা লাঘব হয়েছে।”

মন্ত্রী বলেন, “বাঙালি জাতির ঠিকানা, যাকে কেন্দ্র করে দেশ পেয়েছি, তার কোনো নাম-নিশনা ফরিদপুরে খুব একটা ছিল না, এটা ভাবতে কষ্ট লাগে আমার।” তিনি বলেন, “এখনো আমাদের দেশে একটি গোষ্ঠী আছে, এ দেশকে স্বীকার করতে যাদের কুণ্ঠা হয়।”

উপস্থিত দর্শকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, “আপনারা বিচার করেন, আমার এমপি-মন্ত্রীর সময়কালে ফরিদপুরের উন্নয়নে কী করেছি, আর এর আগে যারা ছিল তারা কী করেছে।” মন্ত্রী দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, “সবার সহযোগিতা পেলে ফরিদপুরকে দেশের সেরা জেলা হিসেবে রূপান্তর করব।”

আগামী ২০২১ সালের আগেই বাঙালি জাতি নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশের স্বীকৃতি পাবে বলে জানান এলজিআরডি মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক সরদার সরাফত আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন, ফরিদপুর পৌর মেয়র শেখ মাহতাব আলী মেথু, ফরিদপুর সদর উপজেলার জেলা চেয়ারম্যান খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবর, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ জেড এম মোস্তাফিজুর রহমান, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মানিক লাল দাস প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই