সরকার জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে
গ্রেপ্তার আতঙ্কে ফখরুল
গ্রেপ্তার আতঙ্কে ভুগছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর। শাহবাগ থানা পুশিশের পাশাপাশি ডিবি পুলিশ প্রেসক্লাবের সব কয়টি পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে। ফখরুল প্রেসক্লাব থেকে বেড় হলেই তাকে গ্রেপ্তার করবে বলে নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানায়।
দু’দিন পুলিশের নজর এড়িয়ে থাকার পর সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সমাবেশে যোগ দিতে এসে তিনি বিপাকে পড়েন। অথচ এই অনুষ্ঠানে তার যোগ দেয়ার কোনো কথাই ছিল না।
জানা যায়, সোমবার বিকেলে হেলমেট পরে একটি মটর সাইকেলে চরে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে ফখরুল প্রেসক্লাবের অডিটরিয়ামে পেশাজীবীদের সমাবেশে যোগ দেন। এরপর পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারের জন্য প্রেসক্লাবের চারপাশে অবস্থান নেয়।
ফখরুলের বক্তব্যের পর পেশাজীবীদের অনুষ্ঠান শেষ হলে প্রেসক্লাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। আওয়ামী লীগ সমর্থিত ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতারা অভিযোগ করেছে ফখরুলের সমাবেশ শেষ হওয়ার পরপরই তাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে হামলা চালায়। এরপর সে প্রেসক্লাব সভাপতির রুমে আশ্রয় নেন। এদিন সোয়া ৭টা পর্যন্ত তিনি সেখানে অবস্থান করেন।
এদিকে গ্রেপ্তার আশঙ্কা করে তিনি প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করেন। জানা গেছে, এই সংবাদ সম্মেলনের পর তার সেখান থেকে বের হওয়ার কথা রয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের শীর্ষ এক নেতা জানান, ফখরুল ইসলাম গ্রেপ্তারের জন্য মানসিকভাবে তৈরি আছেন। তবে প্রেসক্লাব একটি স্পর্শকাতর জায়গা হওয়ায় পুলিশ প্রেসক্লাবে প্রবেশ না করে ফখরুলের বের হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে।
এদিকে শনিবার পুলিশ মির্জা ফখরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করার জন্য তার বাসভবনেও হানা দিয়েছিল।
সরকার জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে
বিএনপি ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট সরকার জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তাই তারা মরিয়া হয়ে দমন পীড়ন শুরু করেছে বিরোধীদের ওপর।
সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে পেশাজীবীদের এক সমাবেশে তিনি একথা বলেন।
ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘তারা (সরকার) মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে। অথচ প্রধান রাজনৈতিক দলকে সমাবেশ করতে দেয় না। বেগম জিয়া দীর্ঘদিন ধরে গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করছেন। অথচ সরকার তাকে
আটকে রেখেছে তার কার্যালয়ে। তাকে বের হতে দিচ্ছে না। গেটে তালা দিয়েছে।
তিনি প্রশ্ন রাখেন, যে গণতন্ত্র আমার আমার ন্যূনতম অধিকার কেড়ে নেয়, যে গণতন্ত্র রাতের আঁধারে আমার ভাইকে গুম করে সেটা কোন গণতন্ত্র।’
৫ জানুয়ারিকে সামনে রেখে পুলিশ রোববার মির্জা ফখরুল ইসলামের উত্তরার বাসায় হানা দেয়। পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে তিনি আজ এই সমাবেশে যোগ দিয়েছেন।
মন্তব্য চালু নেই