সরকার কাউকে ছাড় দিচ্ছে না
গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘নারায়ণগঞ্জ ও ফেনীতে যে গুম-খুনের ঘটনা ঘটেছে তাতে সরকার কাউকে ছাড় দিচ্ছে না।’
রোববার বিকেলে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমীতে বাংলাদেশ যুবলীগ আয়োজিত শেখ হাসিনার ৩৩তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ‘গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম’ গ্রন্থের আলোকচিত্র প্রদর্শনীর ১৮তম দিনে গ্যালারি পরিদর্শনে এসে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘সরকার আইনগতভাবে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। অপরাধী নিজের দলের হোক আর যেই হোক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাউকেই ছাড় দিচ্ছে না।’
তিনি আরো বলেন, ‘পৃথিবীর এমন কোনো দেশ নেই যেখানে গুম-খুনের ঘটনা ঘটছে না। আমেরিকার মতো দেশেও গুম-খুনের ঘটনা ঘটে।’
এ সময় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বানও জানান তিনি।
সমাজকল্যাণমন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলী বলেন, ‘যদি বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকতেন তাহলে বাংলাদেশ আজ কোথায় যেত তা অনুমেয়। যে মালয়েশিয়া মানুষ এক সময় আমাদের দেশে এসে লেখাপড়া শিখে যেত। সেই মালয়েশিয়া আজ কোথায়। এর জন্য দরকার লিডারশিপ।’
যুবলীগের অতীত স্মৃতিচারণ করে সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মণির প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘তখন মণি ভাইয়ের শত্রুর অভাব ছিল না। এমনকি সেদিন আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই মণি ভাইকে সহ্য করতো পারতো না।’
ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘যদি আজকে শেখ হাসিনা এ কাজ না করতেন তাহলে কারো পক্ষে সম্ভব হতো না জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এত বড়ো কাজ করা।’
কাদের মোল্লার ফাঁসির আগে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফোন এসেছিল উল্লেখ করে তাপস বলেন, ‘এ ফোনকে হ্যান্ডেল করা শেখ হাসিনা ছাড়া বাংলার মাটিতে কারও পক্ষে সম্ভব হতো না।’
যুবলীগ সভাপতি আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের সাবেক চিপ হুইপ উপাধক্ষ্য আব্দুস শহীদ, আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ওয়াহেদুজ্জামান চান, যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান হোসেন খান প্রমুখ।
মন্তব্য চালু নেই