‘সরকারকে মাশুল দিতে হবে’

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কার্যালয়ে বিদ্যুৎ, টেলিফোন, ইন্টারনেট ও ডিসের সংযোগ চালু করার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মির্জা আব্বাস ও সদস্য সচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল।

সরকারকে বিপজ্জনক পথ থেকে সরে আসার পরামর্শ দিয়ে তারা বলেন, ‘তা না হলে সরকারকে মাশুল দিতে হবে।

শনিবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান বিএনপির এ দুই শীর্ষ নেতা।

সরকার স্বৈরাচারের সর্বোচ্চ সীমা অতিক্রম করেছে মন্তব্য করে তারা বলেন, ‘সরকারের সর্বশেষ অমানবিক, ন্যাক্কারজনক নজির হলো বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের বিদ্যুৎ সংযোগ, টেলিফোন, ইন্টারনেট ও ডিস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া। এর মাধ্যমে আবারো প্রমাণিত হয়েছে, দেশে আইনের শাসন নেই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসন সরকারের অবৈধ নির্দেশনা অনুযায়ী চলছে।’

সরকারের এ ধরনের ‘ন্যাক্কারজনক ও ঘৃণ্য কর্মকাণ্ডের’ তীব্র প্রতিবাদ জানান তারা।

বিবৃতিতে দলের শীর্ষ এই দুই নেতা অভিযোগ করে বলেন, ‘কার্যালয়ে সব সংযোগ ন্যাক্কারজনকভাবে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া, রুহুল কবির রিজভীকে গ্রেফতার ও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় নাশকতা করে বারবার বিরোধীদলের ওপর দোষ চাপানের চেষ্টা করে দেশের মানুষের দৃষ্টি অন্য দিকে ফেরানোর করা চেষ্টা হচ্ছে।’

তারা বলেন, ‘খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তা এবং ২০ দলের কর্মসূচিতে মানুষের সমর্থন দেখে সরকার হিংস্র হায়েনার মতো আচরণ করছে। আন্দোলন এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, যেকোনো সময় গণবিস্ফোরণের মাধ্যমে সরকারের বিদায় হবে। এ বিষয়টি টের পেয়ে সরকার যখন দেশনেত্রীর বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দিয়ে দমাতে পারেনি, তখন তার কার্যালয় ঘিরে নৈরাজ্য শুরু করেছে।’

ঢাকা মহানগর বিএনপির নেতৃদ্বয় বলেন, ‘সরকার নিজেদের ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করতে বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের ওপর নির্যাতনের স্টিম রোলার চালিয়েই ক্ষান্ত হচ্ছে না, দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে তারা নানাভাবে নির্যাতন করছে। তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বর্তমানে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।’

নেতৃদ্বয় রুহুল কবির রিজভীসহ কারাবন্দি সব নেতা-কর্মীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান। একই সঙ্গে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবি মেনে নিয়ে সংলাপে বসার আহ্বান জানান। অন্যথায় যেকোনো পরিস্থিতির জন্য সরকারকে দায় নিতে হবে বলেও হুঁশিয়ার করেন তারা।



মন্তব্য চালু নেই