সম্মেলনে আসতে শুরু করেছেন নেতা-কর্মীরা

উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে আসতে শুরু করেছেন নেতা-কর্মীরা।

শনিবার সকাল ৭টা থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতা-কর্মীরা আসছেন। পল্টন, মতিঝিল, শাহবাগসহ বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে নেতা-কর্মীরা সম্মেলনস্থলে আসছেন।

এবার ২০তম ত্রিবার্ষিক জাতীয় সম্মেলন। সকাল ১০টায় সম্মেলন উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় বাজতে থাকবে জাতীয় সংগীত। একই সময়ে দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সংগঠনের পতাকা এবং দলীয় পতাকা উত্তোলন করবেন জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা। এরপর শান্তির প্রতীক কবুতর ওড়াবেন সভাপতিসহ সিনিয়র নেতারা। আর রংবেরঙের বেলুন ওড়াবেন অন্যরা।

উদ্বোধনী সংগীত, দেশাত্মবোধক গান ও গীতিনাট্য পরিবেশনের পর প্রথম অধিবেশনের সভাপতি নির্বাচন করা হবে। চার ধর্মগ্রন্থ থেকে বাণী উচ্চারণের পর শোক প্রস্তাব গ্রহণ ও দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হবে।

এরপর দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণার পর অভ্যর্থনা উপকমিটির আহ্বায়ক মোহাম্মদ নাসিমের স্বাগত ভাষণের মধ্য দিয়ে শুরু হবে বক্তৃতার পালা।

পর্যায়ক্রমে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখবেন আমন্ত্রিত দেশি-বিদেশি অতিথিরা। বক্তৃতাপর্ব শেষে সাধারণ সম্পাদকের রিপোর্ট উপস্থাপনের মাধ্যমে প্রথম অধিবেশন শেষ হবে।

জোহরের নামাজের পর দ্বিতীয় অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে জেলার সাংগঠনিক লিখিত রিপোর্ট উপস্থাপন করা হবে। সন্ধ্যায় হবে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

দ্বিতীয় দিনের প্রথম অধিবেশন শুরু হবে সকাল ৯টায়। এ অধিবেশনেও সাংগঠনিক জেলাগুলোর লিখিত রিপোর্ট উপস্থাপন করা হবে। জোহরের নামাজ ও মধ্যাহ্নভোজের বিরতির পর শুরু হবে কাউন্সিল অধিবেশন।

ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনে কাউন্সিলর, ডেলিগেট ও বিদেশি অতিথিরা যোগ দেবেন।



মন্তব্য চালু নেই