সমুদ্রে হারানো আংটি খুঁজে অভিনব কায়দায় বিয়ের প্রস্তাব দিলেন যুবক

সমুদ্রের ফেনিল জলরাশিকে সাক্ষি রেখে প্রেমিকাকে ‘এনগেইজমেন্ট রিং’ পরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন বছর ২৫-এর যুবকটি৷ কিন্তু বিধি বাম৷ হাঁটুগেড়ে প্রেমিকার সামনে বসে আঁটির বাক্স যেই না খুললেন, অমনি হাত ফসকে আংটি ডেকের ফাটল গলে সোজা জলে৷ কিন্তু দমার পাত্র নন প্রেমিক৷ জলের তলা থেকে হারানো আংটি খুঁজে এনে পূরণ করলেন বাগদান পর্ব৷

ম্যাথিউ পিকা নামে এই যুবক তাঁর প্রেমিকা কায়লা হ্যারিটির সঙ্গে ছুটি কাটাচ্ছিলেন সাউথপোর্টে৷ কায়লা জানিয়েছেন, সমুদ্রপারের বারের ডেকেই ম্যাথিউ ঠিক করেন, তাঁকে এনগেইজমেন্ট রিং পরিয়ে দেবেন৷ প্রেমিকার সামনে বসে তিনি আংটির বাক্সটি খোলেনও৷আর তখনই ঘটে অকল্পনীয় অঘটন৷ ম্যাথিউয়ের হাত গলে আংটি গড়িয়ে পড়ে ডেকে৷ তারপর ফাটল গলে তা সোজা গিয়ে পড়ে সমুদ্রে৷

কায়লা জানিয়েছেন, এমনটা যে ঘটতে পারে তা যেন কারও বিশ্বাসই হচ্ছিল না৷ দু’হাতে মুখ ঢেকেছিলেন তিনি৷ আর ম্যাথিউ তো হতবাক৷ কী করবে বুঝেই উঠতে পারছিলেন না৷ রোম্যান্টিক কাহানির এহেন পরিসমাপ্তি দেখে খারাপ লেগেছিল আশেপাশে যাঁরা উপস্থিত ছিলেন তাঁদেরও৷হাতের বিয়ার নামিয়ে রেখে তাঁরাই উঠেপড়ে লাগেন আংটিকে খুঁজতে৷ তবে জলের তলা থেকে আংটি উদ্ধার করা তো আর চাট্টিখানি কথা নয়৷ হাত লাগান বারের কর্মীরাও৷ খানদশেক ফ্লাশলাইট দিয়ে জলের নীচে খোঁজ চলতে থাকে আংটির৷ ম্যাথিউ নিজেও তখন জলে নেমে আতিপাতি খুঁজছেন তাঁর হারানো আংটি৷

প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে চলতে থাকে খোঁজাখুঁজি৷ অবশেষে প্রায় সবাইকে অবাক করেই ক্যালি ব্লাশার নামে এক ব্যক্তি খুঁজে পান আংটিটিকে৷ কায়লা ম্যাথিউ যেন হাতে চাঁদ পেলেন৷ জলের ভিতর থেকে তাঁদের হারানো আংটি যে খুঁজে পাওয়া গিয়েছে, এ যেন ভাবতেই পারছিলেন না তাঁরা৷ এদিকে আংটি যখন পাওয়া গিয়েছে, তখন বাগদান অধুরা থাকে কেন? উপস্থিত সকলের তখন একটাই দাবি, যে কাহিনি অধরা থেকে গিয়েছিল,তার ‘হ্যাপি এন্ডিং’ হোক৷ ম্যাথিউও আর দ্বিধা করেননি৷ ভেজা শরীরেই ফের হাঁটুগেড়ে বসে প্রেমিকার আঙুলে পরিয়েদিলেন সে আংটি৷ কায়লা জানিয়েছেন, ঠিক সেই মুহূর্তের অনুভূতির সঙ্গে পৃথিবীর কোনওকিছুকে মেলানো যায় না৷

বাগদান পর্ব মিটল সকলের চেষ্টায়৷ তাই সকলকে নিয়েই আরও ঘণ্টাখানেক সময় কাটালেন দু’জনে৷ ফেরার সময় দেখলেন তাঁরা মোটামুটি সেলিব্রিটি হয়ে গিয়েছেন৷ সকলেই তাঁদের কাছে সেই আংটিটি দেখতে চাইছেন৷ এমনকি দেখতে চাইছেন তাঁদেরকেও৷কায়লা জানিয়েছেন, ফিরতে ফিরতেই তাঁরা ঠিক করে ফেলেছেন, অন্য কোথাও নয়, বিয়ের পর্বটাও তাঁরা চুকিয়ে ফেলবেন এখানেই৷



মন্তব্য চালু নেই