সমুদ্রের অতলে কাড়ি কাড়ি গুপ্তধন !
শুনলে অবাক করারই কথা- সমুদ্রের অতলে কাড়ি কাড়ি গুপ্তধন! রাশি রাশি রুপার মোহর। গুনে শেষ করা যায় না! বছরের পর বছর ধরে এত গুপ্তধন লুকিয়ে ছিল তা জানাই ছিল না বিশ্ববাসীর। সন্ধান পেতেই চক্ষু চড়ক গাছ!
তাও আবার সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৭ হাজার ফুট গভীরে। এখনো পর্যন্ত এত গভীরে গুপ্তধনের সন্ধান পাওয়া যায়নি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ডুবে যাওয়া একটি জাহাজ থেকে পাওয়া গেল কয়েক হাজার রৌপ্যমুদ্রার বস্তা, যার বর্তমানে আনুমানিক বাজারদর ৪ কোটি ৩০ লাখ পাউন্ড।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন ১৯৪২ সালে বম্বে থেকে ইংল্যান্ড যাচ্ছিল ব্রিটিশ স্টিমবোট ‘দ্য এসএস সিটি অফ কায়রো’। তাতে মজুত ছিল কয়েক হাজার রুপার কয়েন।
অ্যাটলান্টিক মহাসাগরে সেন্ট হেলেনা দ্বীপ থেকে ৪৮০ মাইল দক্ষিণে অ্যাডল্ফ হিটলারের নাত্সি বাহিনীর আক্রমণে ডুবে যায় ‘দ্য এসএস সিটি অফ কায়রো’। জার্মান ডুবোজাহাজ ইউ-বোটের ধাক্কায় ডুবে যায় রুপাভর্তি ব্রিটিশ স্টিমবোট-টি। ওই সম্পত্তি চিরতরে হারিয়ে গেছে বলেই মেনে নেয় ব্রিটিশ সরকার।
ব্রিটেনের একটি গুপ্তধন সন্ধানী দল হারিয়ে যাওয়া জাহাজটির খোঁজে অ্যাটলান্টিকের গভীরে তল্লাশি শুরু করে। বেশ কয়েক মাস তল্লাশির পরই খোঁজ মেলে ‘দ্য এসএস সিটি অফ কায়রো’র। সন্ধানী দলের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৭ হাজার ফুট গভীরে খোঁজ পাওয়া যায় ব্রিটিশ স্টিমবোটটির।
সমুদ্রের এত গভীরে তল্লাশি চালানো একটি কঠিন চ্যালেঞ্জ ছিল। জলে কারেন্ট ছিল মারাত্মক। একইসঙ্গে বোটটির ধ্বংসাবশেষের ওপর জমেছিল কয়েক মিটার পুরু কাদা। তবে শেষ পর্যন্ত একটি রোবোটিক সাবমেরিনের সাহায্যে রুপার কয়েনগুলো উদ্ধার করা গেছে।
২০১৩ সালেই ডুবে যাওয়া জাহাজটির সন্ধান পায় ব্রিটিশ গুপ্তধন সন্ধানী দলটি। তবে এতদিন খবরটি তারা প্রকাশ্যে আনেনি। এবার সেই রুপাগুলো বিশ্বের দরবারে আনা হয়েছে।
মন্তব্য চালু নেই