সমাপ্ত উদ্ধার কাজ, ৭০ মৃতদেহ উদ্ধার

পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ডুবে যাওয়া ‘এমভি মোস্তফা-৩’ লঞ্চের উদ্ধার কাজ সোমবার সকালে সমাপ্ত করা হয়েছে।

মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক রাশিদা ফেরদৌস আনুষ্ঠানিকভাবে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উদ্ধার কাজ সমাপ্ত করেন।

তিনি বলেন, ‘পদ্মায় উদ্ধার কাজ সমাপ্ত করা হলো। তবে তীরে আঞ্জুমান মুফিজুলের দুটি লাশবাহী গাড়ি থাকবে। যদি ডুবুরিরা কোনো লাশের সন্ধান পায়। ওই গাড়িতে লাশ বহন করা হবে। এ পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে ৭০ জনের মৃতদেহ। এদের মধ্যে ৬৮ জনের পরিচয় সনাক্ত শেষে ৬৫ জনের মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ’

এ ছাড়া এ দুঘটনার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘লঞ্চ এবং কার্গো চালকের প্রতিযোগীতামূলক নৌযান চলানোর কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। রোববার বিকেলে এ ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। তারাই তদন্ত করে এ ব্যপারে সিন্ধান্ত নেবে বলে জানান তিনি।

রোববার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে পাটুরিয়া ঘাট থেকে এমভি মোস্তফা প্রায় শতাধিক যাত্রী নিয়ে দৌলদিয়া ঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা দিলে এমভি নারগিস নামের একটি সারবাহী কার্গো জাহাজের ধাক্কায় লঞ্চটি উল্টে মাঝ নদীতে ডুবে যায়।

লঞ্চটি ডুবার পরপরই উদ্ধার অভিযান শুরু করা হলে একে একে বের করা হয় ৪২ জনের মৃতদেহ। পরে রাত ১২টার দিকে নারায়নগঞ্জ থেকে উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তম ঘটনাস্থলে পৌঁছে লঞ্চটিকে উদ্ধার শুরু করে। টানা চার ঘণ্টা পর লঞ্চটিকে উদ্ধার করে পারে নিয়ে আসতে সক্ষম হয় রুস্তম।

এদিকে রোববার দুপুরের পর থেকেই নিখোঁজ স্বজনের খোঁজে পদ্মার পাড়ে জড়ো হতে থাকে তাদের স্বজনরা। প্রথমে ডুবরিরা ৪২ মৃতদেহ উদ্ধার করে। পরে লঞ্চটি উদ্ধার করে পাড়ে নিয়ে আসার পর একে একে বের হতে থাকে আরো লাশ। বাড়তে থাকে লাশের সারি। লঞ্চ থেকে লাশগুলো বের করে পদ্মার পাড়েই রেখে দেয়া হয়। এসময় স্বজনের কান্না আর আর্তনাদে পদ্মার বাতাস ভারি হয়ে উঠে।

আকাশ জুড়ে নেমে আসে শোকের ছায়া। পরে ডুবরিরা লঞ্চ থেকে আরো ২৩ লাশ উদ্ধার করে নিয়ে আসে। পুরো লঞ্চটি খুঁজে আর কোনো মৃতদেহ না পেয়ে সমাপ্ত করা হয় উদ্ধার কাজ।



মন্তব্য চালু নেই