সমানতালে চলছে অবরোধ আর গণগ্রেফতার

হঠাৎ করে গভীর রাতে অবরুদ্ধ বেগম খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয় থেকে পুলিশ বেষ্টনী এবং জলকামানের অবরোধ তুলে নেয়া হলেও ২০ দলের লাগাতার অবরোধে তেমন প্রভাব পড়েনি। দেশব্যাপী স্বৈত্যপ্রবাহ বইছে; রাজনীতির আগুনে তার আঁচড় লাগেনি। সারাদেশে চলছে অবরোধ।

সংঘাত, সংঘর্ষ, জ্বালাও পোড়াও এবং পুলিশের গণগ্রেফতার অভিযানের মধ্যদিয়ে অবরোধের ১৪তম দিন পাড় হলো। অবরোধের পাশাপাশি জেলায় জেলায় হরতালও চলছে পর্যায়ক্রমে। চট্টগ্রাম বিভাগে মঙ্গলবার থেকে ৩৬ ঘণ্টা হরতাল পালনের কর্মসূচি দেয়া হয়েছে। ফরিদপুর, মাদারীপুরে হরতাল পালিত হবে মঙ্গলবার। সারাদেশে সাঁড়াশি অভিযান চলছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীদের না পেয়ে তাদের পরিবারের সদস্যদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে না পেয়ে বাড়ির মালিককে ধরে নিয়ে গেছে পুলিশ এমন অভিযোগও করা হয়েছে। আর বিজিবি প্রহরায় দূরপাল্লার বাস ও পণ্যবাহী ট্রাক চালানোর উদ্যোগ নেয়া হলেও সফলতা পায়নি সরকার। অগ্নিসংযোগের ভয়ে মালিকরা বাস নামাতে সাহস করছেন না। চোরাগোপ্তা হামলায় এরই মধ্যে যারা বাসে ও ট্রাকে অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন তাদের আর্তচিৎকারে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিট ভারাক্রান্ত। অথচ সরকারি দলসহ গৃহপালিত বিরোধী দলের নেতারা অগ্নিদগ্ধ রোগীদের দেখতে গিয়ে ক্যামেরা পোজ দিয়ে দগ্ধরোগীদের যন্ত্রণা আরো বাড়িয়ে তুলছেন।

সর্বত্র আওয়াজ উঠেছে সংলাপের মাধ্যমে চলমান সংকট সমাধানের। মানববন্ধন, মিছিল, আলোচনা সভা এবং টকশোতে এ উদ্যোগ নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে। এ দাবিতে গতকালও ড. কামাল হোসেনসহ দেশের বিশিষ্ট কয়েকজন নেতা মানববন্ধন করেছেন। বাম দলগুলোও করেছে মানববন্ধন। ব্যবসায়ী সম্প্রদায় কয়েকদিন থেকে এ দাবি জানিয়ে আসছেন। পরিবহন ব্যবসায়ী ও বাস-ট্রাক শ্রমিকরাও এ দাবিতে সোচ্চার। সংলাপের মাধ্যমে সংকট সমাধানের দাবি জেলা-উপজেলা এবং গ্রাম পর্যায় থেকেও উঠেছে। কিন্তু সরকার অনড়।

সরকার কঠোর হওয়ায় এবং দেশব্যাপী গ্রেফতার অভিযান পরিচালনা করায় সর্বত্রই গ্রেফতার আতঙ্ক বিরাজ করছে। পুলিশ হয়ে পড়েছে বেপরোয়া। গ্রেফতার আতঙ্কে অনেকেই গ্রাম ছেড়েছেন। ২০ দলের অধিকাংশ নেতা ঘরছাড়া। এর মধ্যেই মতিঝিলে গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছে অবরোধ সমর্থকরা। ফেনীতে অবরোধকারীরা হঠাৎ করেই তা-ব চালিয়ে পণ্যবাহী ট্রাক, পিকআপ ভ্যান, সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ অন্তত ২০টি গাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছে। শহরের তাকিয়া রোড ও ইসলামপুর রোডের বড় বাজারের পাইকারি আড়তে সকালে ট্রাক ও পিকআপ ভ্যানে আগুন দেয়া হয়।

এদিকে ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীদের গণহারে গ্রেফতার, গুম, নির্যাতন, মিথ্যা মামলা দায়েরের প্রতিবাদ ও তাদের মুক্তির দাবি এবং রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম বিভাগে ৩৬ ঘণ্টার লাগাতার হরতাল ডাকা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৩৬ ঘণ্টার লাগাতার এ হরতালের ডাক দিয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগীয় ২০ দলীয় জোট। প্রতিদিনের মতোই সারাদেশে প্রায় অর্ধশত জেলায় বিক্ষোভ মিছিল, ট্রায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করে ২০ দল। গতকালও পাবনায় ৪২ জন, বগুড়ায় ১০ জন, সুনামগঞ্জে ২১ জন, চট্টগ্রামে ২ জন, সিরাজগঞ্জে ২ জন, কক্সবাজারে ২ জন, বরগুনায় ৪ জনসহ নিলফামারী, নড়াইল, ফরিদুপুর, মাদারীপুর, রাজশাহী, রংপুর, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, লালমনিরহাট, নাটোরসহ বিভিন্ন জেলা থেকে কয়েকশ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়।
না। চোরাগোপ্তা হামলায় এরই মধ্যে যারা বাসে ও ট্রাকে অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন তাদের আর্তচিৎকারে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিট ভারাক্রান্ত। অথচ সরকারি দলসহ গৃহপালিত বিরোধী দলের নেতারা অগ্নিদগ্ধ রোগীদের দেখতে গিয়ে ক্যামেরা পোজ দিয়ে দগ্ধরোগীদের যন্ত্রণা আরো বাড়িয়ে তুলছেন।

সর্বত্র আওয়াজ উঠেছে সংলাপের মাধ্যমে চলমান সংকট সমাধানের। মানববন্ধন, মিছিল, আলোচনা সভা এবং টকশোতে এ উদ্যোগ নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে। এ দাবিতে গতকালও ড. কামাল হোসেনসহ দেশের বিশিষ্ট কয়েকজন নেতা মানববন্ধন করেছেন। বাম দলগুলোও করেছে মানববন্ধন। ব্যবসায়ী সম্প্রদায় কয়েকদিন থেকে এ দাবি জানিয়ে আসছেন। পরিবহন ব্যবসায়ী ও বাস-ট্রাক শ্রমিকরাও এ দাবিতে সোচ্চার। সংলাপের মাধ্যমে সংকট সমাধানের দাবি জেলা-উপজেলা এবং গ্রাম পর্যায় থেকেও উঠেছে। কিন্তু সরকার অনড়।

সরকার কঠোর হওয়ায় এবং দেশব্যাপী গ্রেফতার অভিযান পরিচালনা করায় সর্বত্রই গ্রেফতার আতঙ্ক বিরাজ করছে। পুলিশ হয়ে পড়েছে বেপরোয়া। গ্রেফতার আতঙ্কে অনেকেই গ্রাম ছেড়েছেন। ২০ দলের অধিকাংশ নেতা ঘরছাড়া। এর মধ্যেই মতিঝিলে গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছে অবরোধ সমর্থকরা। ফেনীতে অবরোধকারীরা হঠাৎ করেই তা-ব চালিয়ে পণ্যবাহী ট্রাক, পিকআপ ভ্যান, সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ অন্তত ২০টি গাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছে। শহরের তাকিয়া রোড ও ইসলামপুর রোডের বড় বাজারের পাইকারি আড়তে সকালে ট্রাক ও পিকআপ ভ্যানে আগুন দেয়া হয়।

এদিকে ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীদের গণহারে গ্রেফতার, গুম, নির্যাতন, মিথ্যা মামলা দায়েরের প্রতিবাদ ও তাদের মুক্তির দাবি এবং রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম বিভাগে ৩৬ ঘণ্টার লাগাতার হরতাল ডাকা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৩৬ ঘণ্টার লাগাতার এ হরতালের ডাক দিয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগীয় ২০ দলীয় জোট। প্রতিদিনের মতোই সারাদেশে প্রায় অর্ধশত জেলায় বিক্ষোভ মিছিল, ট্রায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করে ২০ দল। গতকালও পাবনায় ৪২ জন, বগুড়ায় ১০ জন, সুনামগঞ্জে ২১ জন, চট্টগ্রামে ২ জন, সিরাজগঞ্জে ২ জন, কক্সবাজারে ২ জন, বরগুনায় ৪ জনসহ নিলফামারী, নড়াইল, ফরিদুপুর, মাদারীপুর, রাজশাহী, রংপুর, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, লালমনিরহাট, নাটোরসহ বিভিন্ন জেলা থেকে কয়েকশ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়।
অচল খুলনা

খুলনা ব্যুরো : ২০ দলীয় জোট ঘোষিত লাগাতার অবরোধ কর্মসূচির চতুর্দশ দিনে গতকাল অচল হয়ে পড়েছে মহানগরী খুলনা। অবরোধের সমর্থনে গত রবিবার রাতে এবং গতকাল সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে পিকেটিং করেছে জোটের কর্মীরা। সকাল ১০টার দিকে পিটিআই মোড় থেকে অবরোধের পক্ষে এক বিশাল মিছিল বের হয়। মিছিলটি নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এরপর কে ডি ঘোষ রোডে বিএনপি অফিসের সামনে নজরুল ইসলাম মঞ্জুর সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এম নুরুল ইসলাম দাদু ভাই। আলোচনায় অংশ নেন কেসিসি মেয়র মনিরুজ্জামান মনি, বিজেপি সভাপতি অ্যাড. লতিফুর রহমান লাবু, পিপলস লীগের ডা. সৈয়দা আফতাব হোসেন, জামায়াত নেতা খান গোলাম রসুল, বিজেপির সিরাজউদ্দিন সেন্টু, মুসলিম লীগের মাওলানা নাসিরউদ্দিন, মুসলিম লীগের অ্যাড. আক্তার জাহান রুকু, বিএনপি নেতা আমির এজাজ খান প্রমুখ।
রাজশাহীতে আটক ৯

রাজশাহী ব্যুরো : অবরোধের পাশাপাশি রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় বিএনপির ডাকা ৩৬ ঘণ্টার হরতাল পালিত হয়েছে। হরতালের দ্বিতীয় দিন গতকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কোথাও কোনো বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তার কারণে এদিন কোথাও দাঁড়াতে পারেনি অবরোধ ও হরতাল সমর্থকরা। কোর্ট চত্বরে হরতালের স্বপক্ষে মিছিল বের করে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে জামায়াত-বিএনপির ৯ জনকে আটক করেছে।

অবরোধ ও হরতালের কারণে গতকাল রাজশাহী থেকে দূরপাল্লার বা আন্তঃজেলা রুটের কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। এছাড়া মহানগরীর বিভিন্ন সড়কে রিকশা, অটোরিকশা মোটরসাইকেল, সিএনজি, মিশুক টেম্পোসহ হালকা যানবাহন চলাচল করেছে অন্যান্য দিনের তুলনায় কিছুটা কম। বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ব্যাংক বীমা খোলা থাকলেও এদিন মূলত কোনো বড় ধরনের লেনদেন হয়নি। রাজশাহী মহানগর এলাকার রোববার রাত থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত জামায়াত-বিএনপির ৮ জনকে আটক করা হয়েছে।
না’গঞ্জে পেট্রোল বোমায় দগ্ধ ১০

নারায়ণগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার : নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় বন্ধন পরিবহনের একটি বাস অভিনব কায়দায় আটকে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে ওই বাসের চালকসহ অন্ততঃ ১০ জন দগ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে স্বামী-স্ত্রী ও আড়াইবছরের শিশু সন্তান রয়েছে। রোববার রাতে বঙ্গবন্ধু সড়কে সমবায় নিউ মার্কেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আজিম গাজী নামের একজনকে আটক করেছে। অপরদিকে সদর উপজেলার ফতুল্লায় যাত্রীবাহী একটি বাস ও ট্রাকে আগুন দিয়েছে অজ্ঞাত পরিচয় দুর্বৃত্তরা। এসময় বাস থেকে দ্রুত নামতে গিয়ে অন্তত ৫জন যাত্রী আহত হয়েছে। সোমবার দুপুর সোয়া ১২টায় ঢাকা-পাগলা-নারায়ণগঞ্জ রুটের ফতুল্লার মাসদাইর এলাকাতে এ ঘটনা ঘটে।

নোয়াখালীতে আটক ১৫
নোয়াখালী ব্যুরো : অবরোধের ১৪তম দিনে নোয়াখালীতে ট্রাক ও সিএনজিতে আগুন দিয়েছে দূর্বৃত্তরা। এসময় চালক ও হেলপার নিরাপদে বের হয়ে আসায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এর আগে রোববার রাতে পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিএনপি-জামায়াতের ১৫ নেতাকর্মীকে আটক করেছে। সোমবার সকালে জেলা শহরে এ ঘটনা ঘটে। আটককৃতদের মধ্যে বিএনপির ১৪ ও জামায়াতের ১ নেতাকর্মী রয়েছে।
বি.বাড়িয়ায় অটোরিক্সায় আগুন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংবাদদাতা : টানা অবরোধের ফলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় থেকে দূরপাল্লার কোন যানবাহন চলাচল করেনি। সিডিউল বিপর্যয়ের মধ্যে দিয়ে ট্রেন চলাচল করা হয়। যাত্রীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। গত রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে শহরের কালীবাড়ি মোড়, টিএ রোড, কান্দিপাড়া, শিমরাইলকান্দি, পাওয়ার হাউজ রোড, স্টেশন রোড, জেলা পরিষদ মার্কেট, রেল গেইট, কাউতলী মোড়, কুমারশীল মোড়, মেড্ডা বাসস্ট্যান্ড, দক্ষিণ পৈরতলায় হাত বোমার বিষ্ফোরণ ঘটে। কালীবাড়ি মোড়ে দুবৃর্ত্তরা ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সায় পেট্রোল বোমা ছুড়লে তাতে আগুন ধরে যায়। এসময় আরো ৫টি অটোরিক্সা ভাঙচুর করা হয়। এছাড়া রাত ৮টার দিকে মেড্ডা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ৩টি অটোরিক্সা ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম জানান, গত রবিবার রাত থেকে এখন পর্যন্ত ৯জন বিএনপি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
দিনাজপুরে যৌথবাহিনীর সহায়তায় গাড়ি চলাচল

দিনাজপুর অফিস : পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবি’র সহায়তায় দিনাজপুরের সবক’টি রুটে সোমবার থেকে যাত্রীবাহী গণপরিবহন চলাচল শুরু হয়েছে।
শহরের নিমনগর ফুলবাড়ী বাসস্ট্যান্ড থেকে গত ৪ দিন ধরে সকাল সাড়ে ১০টা ও সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় পণ্যবাহী ট্রাক, ট্যাংকলরী, কাভার্ডভ্যান ও কার্গো চলাচল করছে।
চট্টগ্রামে অচলাবস্থা

চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রামে অবরোধে অচলাবস্থা চলছে। গতকাল সন্ধ্যায় নগরীর ডিসি হিলসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় ব্যাপক বোমা ও ককটেল বিস্ফোরিত হয়। এছাড়া নগরীর কয়েকটি এলাকায় যানবাহন ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। এতে করে জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দিনভর পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয় ককটেল বিস্ফোরণ ও জ্বালাও-পোড়াও এবং ভাঙচুর। রোববার রাতে নগরীর অলংকার ও ইপিজেড এলাকায় দুটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে কয়েক যাত্রী সামান্য আহত হয়েছে। র‌্যাব-পুলিশ ও বিজিবির কড়া নিরাপত্তার মধ্যেও দূরপাল্লার যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে পুলিশ পাহারায় পণ্যবাহী কিছু পরিবহন চলাচল করেছে। ব্যাপক পুলিশি ধরপাকড় চলছে। এর মধ্যেও তৃণমূলের নেতাকর্মীরা অবরোধ সফলে নানা তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে।সিলেট

সিলেট অফিস : অবরোধের সমর্থনে এবং আটক নেতৃবৃন্দের মুক্তি দাবিতে গতকাল সিলেট নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল।
মিছিলটি রেজিস্ট্রি মাঠের সামনে থেকে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শেখঘাট পয়েন্টে এসে সমাবেশ করে। সমাবেশে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক আজমল হোসেন রায়হানের সভাপতিত্বে ও ছাত্রনেতা লিটন কুমার দাশ নান্টুর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাড. সামসুজ্জামান। জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুস সহিদ, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল নেতা দিপক রায় প্রমুখ।
ফেনীতে ২৫ ট্রাক ভাঙচুর

ফেনী জেলা সংবাদদাতা : গতকাল ফেনী শহরের তাকিয়া রোডে কাঁচামাল ভর্তি দাঁড়িয়ে থাকা ২০ থেকে ২৫টি ট্রাক ভাঙচুর করেছে অবরোধ সমর্থকরা। প্রত্যক্ষদর্শীর সূত্রে জানান, দুপুরে শহরের তাকিয়া রোডে আকস্মিক ৮ থেকে ১০ জনের মুখোশধারী যুবক ঝটিকা মিছিল বের করে। এসময় তারা দাঁড়িয়ে থাকা কাঁচামাল ভর্তি ট্রাক, পিকআপসহ অন্তত ২৫টি মালভর্তি গাড়ি ভাঙচুর করে উধাও হয়ে যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিভিন্ন স্থান থেকে ৫ জনকে আটক করেছে। এদিকে, সন্ধ্যার পর থেকে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে থেমে থেমে ককটেল বিস্ফোরণে শহরে আতঙ্ক দেখা দেয়।
গৌরনদী ও আগৈলঝাড়ায় গ্রেফতার ৩

গৌরনদী উপজেলা সংবাদদাতা : গাছ কেটে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কে অবরোধ সৃষ্টির অভিযোগে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার রামসিদ্দি গ্রাম থেকে সোমবার সকালে বার্থী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম খানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অপরদিকে, বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনার জড়িত থাকার অভিযোগে গতকাল আগৈলঝাড়া উপজেলার বাকাল গ্রামের বিএনপি নেতা কবির ফকির ও বিকেলে যবসেন গ্রামের জামাত নেতা আবুল কালাম আজাদকে উপজেলা সদর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মতিঝিলে গাড়িতে আগুন

মতিঝিলের মধুমিতা সিনেমা হলের সামনে জনতা ব্যাংকের একটি স্টাফ বাসে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়েছে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা। গতকাল (সোমবার) বেলা পৌনে ২টার দিকে এ আগুন দেয়া হয়। তবে অগ্নিকা-ে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শক নিলুফার ইয়াসমিন জানান, অগ্নিকা-ের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলেও জানান তিনি। পুলিশ জানায়, দুর্বৃত্তরা দুপুরে মধুমিতা সিনেমা হলের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি স্টাফ বাসে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি।



মন্তব্য চালু নেই