সভা-সমাবেশের অনুমতি চেয়ে রিট করবেন মান্না

রাজধানীতে সভা-সমাবেশের অনুমতি চেয়ে উচ্চ আদালতে রিট করবেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় শিশু কল্যাণ ভবনে নাগরিক ঐক্য আয়োজিত সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি এ কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘আগামী ৩১ জানুয়ারি শহীদ মিনারে শান্তিপূর্ণ অবস্থান করার অনুমতি চেয়ে পাইনি। পরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শিখা চিরন্তনে অবস্থানের অনুমতি চেয়েছিলাম তাও এখন পর্যন্ত পাইনি। আজ (বৃহস্পতিবার) বিকেল পর্যন্ত দেখব, না হলে উচ্চ আদালতে সভা-সমাবেশের অনুমতি চেয়ে রিট করব।’

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘সভা-সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করার অধিকার আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। কিন্তু সরকার তথাকথিত নিরাপত্তার অজুহাতে এই অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে।’

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সভা-সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হলেও মাঝেমধ্যে মাইক ব্যবহার করতে দেওয়া হয় না বলে জানান তিনি।

চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট সমাধানের জন্য জাতীয় সংলাপ প্রয়োজন মন্তব্য করে তিনি বলেন, দুই দলের রাজনৈতিক সঙ্কট সমাধানের জন্য প্রয়োজন জাতীয় সংলাপ। এ সংলাপ শুধু বিএনপি-আওয়ামী লীগের সমাঝোতার জন্য নয়; একটি স্থায়ী ব্যবস্থা সৃষ্টির জন্য।

বর্তমান রাজনৈতিক সঙ্কটের জন্য সরকারকে দায়ী করে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক বলেন, এ সমস্যার মূলে ৫ জানুয়ারির নির্বাচন। নির্বাচনের নামে যা হয়েছে, তা প্রহসন। এখন ২০ দলীয় জোট আন্দোলন করছে, তারা বড় রাজনৈতিক দল সে কারণেই ফোকাসে আছে। কিন্তু আসলে এটা দেশের ১৬ কোটি মানুষের মনের কথা।

তিনি বলেন, বিএনপিকে যদি গাজীপুর ও ঢাকায় একটি জনসভা করতে দেওয়া হতো তাহলে এ সঙ্কট সৃষ্টি হতো না।

তিনি আরও বলেন, হরতাল-অবরোধ চললেও সরকার বলছে, পরীক্ষা যথাসময়েই অনুষ্ঠিত হবে। তার মানে পরীক্ষাগ্রহণ করা হবে, সরকার বাহবা নেবে যে জনগণ হরতাল-অবরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে। অন্যদিকে হাজার হাজার শিক্ষার্থী আতঙ্ক নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে যাবে।

জনগণের নিরাপত্তা দিন, দায়িত্ব আমার— প্রধানমন্ত্রীর এমন ঘোষণার সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাবেক এ সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যে এমন ঘোষণা দিলেন, এখানে অন্য একটি গোষ্ঠী যদি সুযোগ নেয়, তাহলে কী হবে? আর উনি কি সারাজীবন ক্ষমতায় থাকবেন? এখন হুকুম দিয়ে মানুষ হত্যা করবেন, অন্য একজনকে হুকুমের আসামী করছেন, আপনাকে করবে না? ৪৩ বছর আগের ঘটনার বিচার যদি এখন পর্যন্ত হয়, তাহলে আপনার বিচার হবে না?’

মান্না বলেন, ‘আমরা রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসও চাই না। দলীয় সন্ত্রাসের নামে পেট্রোলবোমায় মানুষ মারার সন্ত্রাসও চাই না। এটা বন্ধ করতে হবে।’

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনের ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক, দক্ষিণের আহ্বায়ক সহিদুল্লাহ কায়সার, ইফতেখার মাহমুদ বাবু প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই