‘সব ক্লাসে থাকবে গণহত্যার ইতিহাস’
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘২০১৮ সাল থেকে স্কুল ও মাদরাসার সব ক্লাসের পাঠ্যবইয়ে ২৫ মার্চের গণহত্যার বিস্তারিত ইতিহাস থাকবে।’
শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গণহত্যা দিবস উপলক্ষে ‘রক্তাক্ত ২৫ মার্চ গণহত্যার ইতিবৃত্ত’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘আগামী বছর থেকে প্রতিটি ক্লাসে ২৫ মার্চ বিষয়ে বিস্তারিত লেখা থাকবে। প্রথম শ্রেণিতে থাকবে- ১৯৭১ সালে ৩০ লাখ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। দ্বিতীয় শ্রেণিতে থাকবে- ১৯৭০ সালে বঙ্গবন্ধু নির্বাচিত হওয়ার পরও তাকে ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। তৃতীয় শ্রেণিতে থাকবে- ১৯৭১ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানিরা যে অত্যাচার করেছেন সেসব বিষয়ের বিবরণ। চতুর্থ শ্রেণিতে আরো একটু বেশি। পঞ্চম শ্রেণিতে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস। পর্যায়ক্রমে সব ক্লাসে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরা হবে। এটা মাদরাসা হোক, কেজি স্কুল হোক আর প্রাইমারি হোক, সব ক্লাসেই থাকবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আগামী বছরের এই দিনে বিকেল ৪টা ৩০ মিনিট থেকে ৩১ মিনিট পর্যন্ত (এক মিনিট) বিউগল বাজবে। কোনো গাড়ি চলবে না। মানুষ জানবে, গণহত্যা স্মরণে করা হচ্ছে। এ ছাড়া এই দিনে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে এক ঘণ্টা ২৫ মার্চ বিষয়ে আলোচনা করতে হবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাবে বলে আশা করছি। আপনারা জানেন, এখন ৯ ডিসেম্বরকে জাতিসংঘ গণহত্যা দিবস হিসেবে পালন করছে। এর পেছনে যৌক্তিক কোনো কারণ নেই। শুধু জাতিসংঘের একটা রেজুলেশনকে সম্মান করেই সবাই দিবসটি পালন করছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের কাছে ৭১ এর গণহত্যার যত ভিডিও আছে তা আমরা সব বিদেশি কূটনীতিককে দেব। আমরা চাই, ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস হিসেবে বিশ্ব পালন করুক। আমাদের যেসব যৌক্তিকতা আছে তা অন্য দেশের নেই। কাজেই আমরা বিশ্বাস করি, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করব।’
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাহমুদ রেজা খানের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সংসদীয় কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন এ বি এম তাজুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি শাহজাহান কামাল ও ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া প্রমুখ।
মন্তব্য চালু নেই