সত্তরের নির্বাচনের তথ্য নেই ইসিতে

চলমান মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের তদন্তের স্বার্থে ১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বরের জাতীয় পরিষদ নির্বাচন ও ১৭ ডিসেম্বরের প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনের তথ্য চেয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তবে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের কাছে ওই দুই নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো তথ্য না থাকায় তারা এখন জাতীয় সংসদের শরণাপন্ন হচ্ছে। কারণ, ১৯৭০ সালে ওই নির্বাচন হলেও নির্বাচন কমিশন প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭২ সালে।
ইসি জানায়, গত ১২ নভেম্বর আইসিটির তদন্ত সংস্থা একটি চিঠির মাধ্যমে ওই নির্বাচনের তথ্য চায়।
ইসির সিনিয়র সহকারি সচিব পর্যায়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘ট্রাইব্যুনালের চাহিদা অনুযায়ী ইসির পুরোনো নথি খোঁজাখুঁজি করা হয়েছে। ইসির কাছে ১৯৭০ সালের নির্বাচনের কোনো তথ্য নেই।’
এদিকে নির্বাচন কমিশনে তথ্য না পেয়ে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের লাইব্রেরিতে সংরক্ষতি পুরোনো নথিপত্র থেকে ৭ ও ১৭ ডিসেম্বরের নির্বাচনের তথ্য খুঁজতে দুজন কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ।
এরা হলেন- জনবল ব্যবস্থাপনা শাখা–২ এর সিনিয়র সহকারী সচিব মো. আতিয়ার রহমান ও সংস্থাপন-২ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মো. শাহ আলম।
তথ্য খুঁজে পেলে তাদের আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার যুগ্ম সচিবের কাছে তা দাখিল করতে বলা হয়েছে।
নথি খোঁজার বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিবকেও একটি চিঠি দিয়েছে ইসি।
ইসি সচিবালয়ের উপ-সচিব মো. সামছুল আলম স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নির্দেশনার প্রেক্ষিতে জানানো যাচ্ছে যে, দুইজন কর্মকর্তাকে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের লাইব্রেরিতে সংরক্ষিত পুরাতন ডকুমেন্ট থেকে ৭ ডিসেম্বর ১৯৭০ এর জাতীয় পরিষদ নির্বাচন এবং ১৭ ডিসেম্বর ১৯৭০ এর প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচন সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যায় কি না তা ভালো করে খুঁজে দেখে আগামী দশ কার্যদিবসের মধ্যে যুগ্ম সচিবের (নির্বাচন ব্যবস্থাপনা-২) কাছে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য অনুরোধ করা হলো।’
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের বিচার করতে ২০১০ সালের ২৫ মার্চ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) গঠন করা হয়। চলমান মামলাগুলোর তদন্তের স্বার্থেই আইসিটি ইসির কাছে ওই তথ্য চায়।



মন্তব্য চালু নেই