সজলের প্রথম অটোগ্রাফ প্রার্থী ছিলো এক ছিনতাইকারী!

মডেলিং দিয়ে ক্যারিয়ারের শুরু। তবে এখন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা তিনি। সম্প্রতি নাম লিখিয়েছেন চলচ্চিত্রেও। জনপ্রিয় সেই অভিনেতার নাম সজল। সম্প্রতি তিনি কথা বলেছেন ভালোলাগা, ক্যারিয়ারসহ ব্যক্তিগত নানা বিষয়ে।

প্রশ্ন: প্রথম প্রেমের অনুভূতি কেমন ছিল?
সজল: তখন আমি ঢাকা কলেজের ছাত্র। এখন সেই স্মৃতি ধূসর। তেমন কিছুই মনে নেই।

প্রশ্ন: প্রথম টেলিভিশন নাটক কোনটি?
সজল: তন্ময় তানসেনের পরিচালনায় ‘তখন জানতে বাকি’।

প্রশ্ন: প্রথম মডেলিং কোনটি?
সজল: আফজাল হোসেনের পরিচালনায় স্টারশিপ কনডেন্স মিল্কের টিভিসিতে প্রথম অভিনয় করি। আমি সত্যি ভাগ্যবান যে প্রথমেই আফজাল হোসেনের মতো ব্যক্তিত্বের সঙ্গে কাজের সুযোগ পেয়েছি। এটি আমার ক্যারিয়ারের গুরুত্বপূর্ণ অর্জন।

প্রশ্ন: প্রথম বিদেশ সফর?
সজল: তখন আমি সম্ভবত ৪০ দিনের, সেই সময়ে আমার বাবা-মা দুবাইতে চলে যায়। সেটিই ছিল প্রথম বিদেশ সফর।

প্রশ্ন: ক্যারিয়ারের প্রথম লক্ষ্য কী ছিল?
সজল: কখনো মনে করতাম শিক্ষক হবো, আবার কখনো মনে হতো না রিকশা চালাবো। তাহলে সব জায়গায় ঘুরে বেড়ানো যাবে। তবে আমার দাদার ইচ্ছা ছিল আমাকে ব্যারিষ্টার বানানো।

প্রশ্ন: প্রথম উপার্জন…
সজল: এটি অনেক আগের ঘটনা তখন আমি ছাত্র ছিলাম। টিউশনি করতাম এবং সেটিই ছিল প্রথম উপার্জন। সেই অর্থ আমি পকেটমানি হিসেবে ব্যয় করতাম।

প্রশ্ন: প্রথম স্কুল…
সজল: রাইফেলস স্কুল। আর দুবাইতে আমার প্রথম স্কুল ছিল বাংলাদেশ ইসলামিয়া স্কুল।

প্রশ্ন: প্রথম ড্রিমগার্ল…
সজল: বলিউডের হার্টথ্রব মাধুরি দীক্ষিত।

প্রশ্ন: প্রথম অটোগ্রাফ দেয়ার অভিজ্ঞতা…
সজল: এটি বেশ মজার। অস্ত্রসহ এক ছিনতাইকারী আমার সামনে এসে ওয়ালেট বের করে দিতে বললো। এমন সময় তিনি আমাকে চিনতে পেরে বলে, একটা অটোগ্রাফ দেন। আমি সেদিন তার জন্য কিছুই করতে পারিনি, তবে খুব জোরো হেসেছিলাম। এখনো এটি মনে হলেই আমি হাসি।

প্রশ্ন: প্রথম কোন সিনেমা প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে দেখেছিলেন?
সজল: বাবা-মার সঙ্গে রাজ্জাক এবং ববিতা অভিনীত কোনো সিনেমা দেখেছিলাম। তবে এখন আর নাম মনে নেই।

প্রশ্ন: আপনার প্রথম কোন স্বপ্ন পূরণ হয়েছে?
সজল: আমার স্বপ্ন ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ করবো এবং এটি অর্জন করতে পেরেছি।

প্রশ্ন: চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ…
সজল: আগামী ১৬ অক্টোবর মুক্তি পাচ্ছে আমার প্রথম চলচ্চিত্র ‘রানআউট’। এটি প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে দেখার ইচ্ছা আছে।

প্রশ্ন: ক্যারিয়ারের প্রথম টার্নিং পয়েন্ট…
সজল: অনেক দিন আগে, একটি বড় পাবলিক অনুষ্ঠানের শিরোনাম দিয়েছিলাম ‘তাকধুম তাকধুম’। পেশাগত জীবনে এটি অনেক বড় অর্জন বলে আমি মনে করি।



মন্তব্য চালু নেই