সংসদে মমতাজের ‘রাসেল এলিজি’
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুসহ অনেকের সঙ্গে নিহত হয়েছিল শিশু রাসেলও। সেই নিষ্পাপ শিশুর মৃত্যুমুহূর্তের আর্তনাদ ছন্দে ছন্দে স্মরণ করলেন সংসদ সদস্য ও কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম। তার এ হৃদয়বিদারক শোকগাথায় (এলিজি) কিছুক্ষণের জন্য সংসদ অধিবেশনে বিষণ্ণতার নিস্তব্ধতা নেমে আসে।
মঙ্গলবার রাতে দশম জাতীয় সংসদের পঞ্চম অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবে এভাবেই রাসেলকে স্মরণ করেন মমতাজ।
মমতাজ বলেন, ‘আজ আমি ছোট্ট শিশু রাসেলের উদ্দেশে বলতে চাই। একটা শিশু বাচ্চা মায়ের লাশটি দেখছে, বাবার লাশটি দেখছে, ভাইয়ের লাশটি দেখছে। এরকম একটা অবস্থায় একটা বাচ্চার কী অবস্থা হতে পারে! তাই আমি একটা ছন্দে বললাম।’
রাসেলকে উদ্দেশ করে মমতাজের শোকগাথা:
বাবার লাশটি সিঁড়িতে পড়া,
মায়ের লাশটি মেঝেতে পড়া।
ভাইয়ের লাশটি সিঁড়ির গোড়ায় বাবার রক্তে ভিজে,
মেঝে ভাইও লাশ এ কী সর্বনাশ!
দু’জন ভাবি মায়ের মতো বুলেটে ক্ষতবিক্ষত,
ছোট্ট শিশু শেখ রাসেল এসব দেখতে দেখতে মায়ের কাছে জাবো আমি বললো কাঁদতে কাঁদতে,
খুনি বলে অস্ত্র তুলে যাবি মায়ের কাছে।
চল তোর দিয়ে আসি তোর মা যেখানে আছে।
রাসেল ‘হ্যাঁ’ বললো,
ছোট্ট শিশু শেখ রাসেলের বুকেও গুলি চললো।
মা মা বলে লুটেয়ে পরলো মায়ের লাশের পাশে,
রক্ত ভেজা মায়ের আঁচল রাসেল রক্তে ভাসে।
মা মা বললো লুটিয়ে পড়লো, ধরলো মায়ের গলা,
কাঁদিস নারে জাদু আমার- মা’র হইলো না বলা।
রাসেল হ্যাঁ বললো, ছোট্ট শিশু রাসেলের বুকেও গুলি চললো।
মমতাজ বলেন, ‘সেই থেকেই শুরু হয়েছে- যারা দেশ চায়নি, তারা আজও পর্যন্ত নির্মম হত্যাকাণ্ড জ্বালাও পোড়াও করছে। বিএনপি কোনোদিনই মানুষের জন্য রাজনীতি করে না। এখনো করছে না।’
মন্তব্য চালু নেই