সংলাপের টেবিলে নয়, খালেদার স্থান কাশিমপুর কারাগারে

বিএনপি চেয়ারপারসন ও ২০ দলীয় জোট নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ‘ভেবেছিলাম বেগম জিয়ার নিষ্ঠুর হৃদয়ে সামান্য হলেও রহম আসবে। তিনি সাধারণ মানুষের কান্না-আহাজারী শুনতে পাবেন। বাতাসে আগুনে পোড়া লাশের গন্ধ তার মন পরিবর্তন করবে। কিন্তু অবরোধ কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়ে দেশবাসীকে চরম হতাশ করেছেন। তিনি সাধারণ মানুষ, গণমাধ্যম, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করে তার একগুঁয়েমি বজায় রেখেছেন।’
রোববার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য অধিদপ্তর সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। গত শুক্রবার বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সংবাদ সম্মেলনের প্রতিক্রিয়া জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
মন্ত্রী বলেন, ‘আজ আগুন-সন্ত্রাস-নাশকতা-জঙ্গিবাদ দেশের প্রধান সমস্যা। সবার আগে আগুন সন্ত্রাস-নাশকতা-জঙ্গিবাদ দমন ও নিশ্চিহ্ন করা হবে। আগুন সন্ত্রাসের রানী বেগম খালেদা জিয়ার জায়গা সংলাপের টেবিলে নয়, কাশিমপুর কারাগারে।’
সরকার শক্ত হাতে সকল সন্ত্রাস, নাশকতা অন্তর্ঘাত মোকাবেলা করে দেশকে সচল রেখেছে এবং জনজীবনে স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে এনেছে জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, দেশের শান্তি ও স্বাভাবিকতা বজায় রাখতে এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যা যা করা দরকার সরকার তাই করবে।’
তিনি বলেন, ‘সরকার আগুন-সন্ত্রাসীদের কাছে জঙ্গিবাদীদের কাছে আত্মসমর্পণ করবে না। বরং আগুন-সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদীদের চূড়ান্তভাবে পরাজিত ও আত্মসমর্পণে বাধ্য করা হবে।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ, জঙ্গিবাদী ও মৌলবাদীদের রক্ষা, দুর্নীতিসহ বিভিন্ন মামলা ও বিচার থেকে উনি ও উনার পরিবারের সদস্যদের নিষ্কৃতির জন্য নিজেই নিজেকে ভুল রাজনীতির পথে নিয়ে গেছেন। উনার ভুল রাজনীতির খেসারত জনগণ কেন দেবেন?’
তিনি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সমাজে নির্বাচনী ব্যবস্থাকে উন্নত ও শক্তিশালী করার জন্য আলোচনা-সংলাপ হতেই পারে। কিন্তু একটি নির্বাচনের জন্য কোনো এডহক ব্যবস্থার ফর্মূলা নিয়ে আলোচনা কোনোভাবেই যুক্তিসংগত নয়। নির্বাচনী ব্যবস্থাকে উন্নত ও শক্তিশালী করার জন্য কোনো স্থায়ী প্রস্তাবও বেগম জিয়া দেননি, দিতেও পারছেন না।’



মন্তব্য চালু নেই