সংবিধান পরিবর্তনের গভীর ষড়যন্ত্র চলছে : আমু

দেশে সংবিধান পরিবর্তনের গভীর ষড়যন্ত্র চলছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’ নামে একটি সংগঠনের ঢাকা মহানগর শাখার সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আমির হোসেন আমু বলেন, “১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালো রাতে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে কার্যত মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধকে হত্যা করা হয়েছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে ৭২-এর সংবিধানের মূল চার স্তম্ভ প্রতিষ্ঠা করেছে। আজকে দেশের সংবিধান পরিবর্তনের গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। তাই মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের চেতনা-মূল্যবোধ ধারণ করতে হলে, সংগঠন করে বসে থাকলে হবে না। সারা দেশের মানুষকে সংঘবদ্ধ করতে হবে, সংগঠিত করতে হবে।”

তিনি বলেন, “বোমা মেরে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে। সেই হত্যাকা- সরকার পরিবর্তনের জন্য নয়। খালেদা জিয়ার আন্দোলনের ডাকে মানুষ সাড়া দেয় না। হরতাল-অবরোধে যেহেতু বাস ড্রাইভাররা গাড়ি চালায় সেহেতু আগুন দিয়ে ড্রাইভার হত্যা করা হচ্ছে। মানুষ গাড়িতে চড়ে বলে আগুন দিয়ে নারী-শিশু হত্যা করা হচ্ছে। আজকের আন্দোলন রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে, জনগণের বিরুদ্ধে। সরকারের বিরুদ্ধে নয়।”

প্রবীণ এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, “৭১ সালে পাকিস্তানিরা বলেছিলো মিট্টি চাহিয়ে আদমি নেহি। তার কারণ হলো সেই দিন এই দেশের সমস্ত মানুষ জয় বাংলা ধ্বনি দিতো বলে পাকিস্তানিরা মানুষের বিরুদ্ধে এই কথা বলতো আমরা মাটি চাই মানুষ চাই না। আজকে যে হত্যাকাণ্ড চলছে সেটা মানুষের বিরুদ্ধে।”

মন্ত্রী বলেন, “মুক্তিযোদ্ধারা অনেক কিছুই মূল্যায়ন করতে পারেনি। আজকে যখন মুক্তিযোদ্ধার আবেদন আসে তখন দুঃখ লাগে। মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদেরও মূল্যায়ন করতে পারেনি। আজকে যেমন আমরা বিভিন্ন দেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পড়ি ১০০ বছর পর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের নাম থাকবে।”

সংগঠনের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে মুক্তিযুদ্ধের এই সংগঠক বলেন, “আপনাদের কিছু কিছু দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করতে হবে। আপনারা একটা সংগঠন করে বসে থাকবেন এটা হবে না। বক্তৃতা দিবেন, সভা-সমাবেশ করবেন তা হবে না। আপনাদের মুক্তিযুদ্ধের ধারা সারা জীবনের জন্য প্রতিষ্ঠত করা। যাতে পরবর্তী প্রজন্ম ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারে।”

তিনি বলেন, “যে সব জায়গায় ৭১ সালে সম্মুখ সমর হয়েছিল ৯৬ সালে সে সমস্ত জায়গায় শিখা চিরন্তর নির্মাণ করার উদ্যোগ ছিল। আপনারা সে সব জায়গায় অনুষ্ঠান করবেন। বিশেষ করে যেই দিন সম্মুখ সমরের যুদ্ধ হয়েছিল সেই দিন সেখানে অনুষ্ঠান করবেন। আপনাদের এমন ভাবে সংগঠন করতে হবে যেন পরবর্তী প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জাগ্রত হয়।”

সংগঠনের ঢাকা মহানগর আহ্বায়ক নুরুজ্জামান ভুট্টোর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী ক্যাপ্টন এ বি তাজুল ইসলাম, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদের মহাসচিব শফিকুল বাহার মজুমদার টিপু, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হুমায়ুন কবির, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম নয়ন প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই