সংবর্ধনায় হাতি-ঘোড়া-পালকি
হাতি, ঘোড়া ও পালকি দিয়ে ব্যতিক্রমধর্মী এক গণসংবর্ধনা দেয়া হয়েছে থার্মেক্স গ্রুপের এমডি ও মজিদ মোল্লা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা দানবীর আবদুল কাদির মোল্লাকে।
শুক্রবার কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার নারান্দী ইউনিয়নের ‘আমরা নারান্দী বাসীর উদ্যোগে’ নারান্দী উচ্চ বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে খেলার মাঠে এ গণসংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।
সংবর্ধনাকে ঘিরে পুরো নারান্দী ইউনিয়নে বিরাজ করে উৎসবমুখর পরিবেশ। অনুষ্ঠান বিকেলে হলেও সকাল থেকে উৎসুক জনতা গভীর আগ্রহে অপেক্ষা করতে থাকে। বর্ণিল সাজে সাজানো হয় মঞ্চ।
সংবর্ধিত ব্যক্তির আগমনকে কেন্দ্র করে শুভেচ্ছা জানিয়ে অনুষ্ঠানস্থল থেকে হোসেন্দী পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তায় ৪০টিরও অধিক তোরণ নির্মাণ করা হয়। রাস্তার দু’পাশে হাজারো উৎসুক জনতা এক নজর দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতে থাকে।
বিকেল পৌনে ৫টার দিকে আগমন ঘটে দানবীর আবদুল কাদির মোল্লার। তাকে অভ্যর্থনা জানাতে প্রাচীন ঐতিহ্য ২টি পালকি, ৬টি ঘোড়া, ১টি হাতি, ৪টি গরু ও মহিষের গাড়ি, লাঠিয়াল বাহিনী, ব্যান্ডপার্টি ও ৫ শতাধিক মোটরসাইকেল শো-ডাউন করে।
অনুষ্ঠান শুরুর অনেক আগেই জনাকীর্ণ হয়ে পড়ে পুরো মাঠ। আশপাশ পুরো এলাকায় ছেয়ে যায় নারী-শিশু-পুরুষে। মাঠের আশপাশে আরও ৩টি বড়পর্দা (ডিজিটাল স্ক্রিন) স্থাপন করা হয়। যাতে পুরো মঞ্চ স্পষ্ট করে দেখে উৎসুক জনতা।
অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বারবার আবেগ-আপ্লুত হয়ে পড়েন দানবীর আবদুল কাদির মোল্লা। তিনি বলেন, ‘মানুষের বাড়িতে লজিং থেকে মেট্রিক পাশ করি। মাত্র ৩৬০ টাকার জন্য ফরম পূরণ করতে না পেরে ইন্টার পরীক্ষা দিতে পারি নাই। সে ব্যথা আজও আমাকে ব্যথিত করে। মরে যাওয়ার সময় বাবার দিয়ে যাওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী জীবন শুরু করি। মানুষের কল্যাণের জন্য, শিক্ষার প্রসারের জন্য আমি আমৃত্যু কাজ করে যাবো।’ বক্তব্য দিতে গিয়ে বারবার কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
উক্ত অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট শিল্পপতি আব্দুল মান্নান মানিকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন, কিশোরগঞ্জ-২ (পাকুন্দিয়া-কটিয়াদী) আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সোহরাব উদ্দিন এমপি।
পাকুন্দিয়া ডিগ্রি কলেজের সাবেক ভিপি শফিকুল ইসলাম শফিকের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য দেন, নরসিংদীর আবদুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজের অধ্যক্ষ ড. মশিউর রহমান মৃধা, পাকুন্দিয়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. কফিল উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন প্রমুখ।
পরে রাত সাড়ে ৯টা থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়। এতে বিশিষ্ট কণ্ঠশিল্পী নকুল কুমার বিশ্বাস সঙ্গীত পরিবেশন করেন।
মন্তব্য চালু নেই