ঝিনাইদহের কিছু খবর
শৈলকুপায় বিনামূল্যে শেলাই মেশিন বিতরন করলেন জেলা প্রশাসক
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় জাগরনী চক্র ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে উজ্জীবিত কর্মসূচীর অতি দরিদ্র ২৫ মহিলা সদস্যকে বিনামূল্যে শেলাই মেশিন বিতরন করা হয়। বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার ৯ নং মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে শেলাই মেশিন বিতরন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক শফিকুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আলী প্রিন্স ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা আরিফ রেজা মন্নু প্রমুখ।
‘সবজি উৎপাদন বাড়িয়ে নারীর ক্ষমতায়ন’ শীর্ষক কর্মশালা:
ঝিনাইদহে সবজি উৎপাদন বাড়িয়ে নারীর ক্ষমতায়ন শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। বৃহস্পতিবার সকালে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। কর্মশালায় প্রধান অতিথি বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মো: শফিকুল ইসলাম। এসময় উপস্থিত ছিলেন, ইসরাত জাহান, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নিলুফার রহমান, সহ ৬ উপজেলার কৃষাণীরা।
খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত ও কৃষির স্থায়িত্বশীল উন্নয়নে কর ন্যায্যতার দাবী:
দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও কৃষির স্থায়িত্বশীল উন্নয়নে কর ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার দাবী জানিয়েছেন ঝিনাইদহের কৃষক ও সুশীল সমাজ। বৃহস্পতিবার ঝিনাইদহ শহরে কৃষক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে অনুষ্ঠিত র্যালি ও মানববন্ধন থেকে এ দাবী জানানো হয়। কৃষিখাতে কর ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার দাবী সম্বলিত ব্যানার ও ফেস্টুন শোভিত র্যালিটি সকাল ১০ টায় এইচএসএস রোডস্থ উন্নয়ন ধারা ও স্বাধীন কৃষক সংগঠনের কার্যালয় থেকে বের হয়। র্যলিটি শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে পোস্ট অফিস মোড়ে মানববন্ধনে রূপান্তরিত হয়। একশন এইড বাংলাদেশের সহযোগিতায় খাদ্য নিরাপত্তা নেটওয়ার্ক খানি বাংলাদেশের সদস্য সংস্থা উন্নয়ন ধারা এবং স্বাধিন কৃষক সংগঠন এ কর্মসূচির আয়োজন করে। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন উন্নয়ন ধারার নির্বাহী পরিচালক কৃষিবিদ শহীদুল ইসলাম উন্নয়ন ধারার প্রকল্প সমন্বয়কারী মোঃ হায়দার আলী, কৃষিবিদ রাজু আহমেদ,কৃষিবিদ রুবেল আলী, কৃষিবিদ কৃষ্ণদাস সাহা, কৃষানী মনিরা আহমেদ,মো: আয়াতুল-াহ,ফরিদ হুসাইন ,স্বাধীন কৃষক সংগঠনের সভাপতি কৃষক নেতা রুবায়েত হোসেন মোল¬া,আব্দুর রাজ্জাক, মওলাদ হোসেন, মোবারেক মৃধা প্রমূখ। মানববন্ধন শেষে এক সমাবেশে বক্তাগন বলেন, কৃষিই এদেশের অর্থনীতির মূল ভিত্তি। আজ বিদেশী কৃষি উপকরণ ও কৃষিপণ্য বাজার দখল করছে। ফলে, স্থানীয় কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য অসম প্রতিযোগিতার মুখে পড়ে ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তবুও বিদেশী পণ্য ও বহুজাতিক কোম্পানির আগ্রাসন মোকাবিলা করে এই ক্ষুদ্র কৃষকরাই দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। এ আগ্রাসন থেকে কৃষকদের রক্ষা করতে হলে বিদেশি কৃষিপণ্য আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক বাধা আরোপ করতে হবে। অন্যদিকে, দেশি-বিদেশি কোম্পানিগুলো কৃষকদের কাছে কৃষি উপকরণ বিক্রী করে বা কৃষকের উৎপাদিত পণ্য নিয়ে ব্যবসা করার ক্ষেত্রে কর রেয়াত ও কর অবকাশের সুয়োগ নিয়ে প্রচুর মুনাফা করে তা দেশের বাইরে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সরকারকে যথেষ্ট পরিমান কর দিচ্ছে না বা নানা কৌশলে কর ফাঁকি দিচ্ছে। অথচ, দরিদ্র কৃষক নিত্যপণ্য, কৃষি যন্ত্রপাতি ও উপকরণ ক্রয়ের ক্ষেত্রে ধনীদের সমান হারে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট), ভূমিকর, হাট-বাজারের ইজারা ইত্যাদি নানান কর দিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের রাজস্ব আয়ের বেশিরভাগ অংশ আসে মূল্য সংযোজন কর থেকে। ফলে, উন্নয়ন বৈষম্য দিন দিন বেড়েই চলেছে। কাজেই কৃষি ও কৃষকদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য দেশের কর ব্যবস্থার সংস্কার করে ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠা করা অত্যন্ত জরুরি। কৃষকদের পক্ষ থেকে দেশি-বিদেশি কোম্পানি ও ব্যবসায়িদের কাছ থেকে অধিক হারে আয়কর সংগ্রহ করে এবং মূল্য সংযোজন কর কমিয়ে এনে কর আদায়ের ক্ষেত্রে ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠা করা এবং কৃষি কৃষকের স্থায়িত্বশীল উন্নয়নে বাজেট বরাদ্দ বৃদ্দি করার দাবি উত্থাপন করা হয়।
মন্তব্য চালু নেই