শেষ ম্যাচেও জয় চায় বাংলাদেশ

টেস্ট, ওয়ানডে এবং টি-২০। ক্রিকেটের তিন ফরমেটের মধ্যে বাংলাদেশ সবচেয়ে শক্তিশালী ওয়ানডেতে। টেস্ট এবং টি-২০তে এখনও যেন ধুকছে টাইগাররা। টি-২০তে সাকুলে ৬ ম্যাচ জয় টেস্ট প্লেয়িং দেশগুলোর বিপক্ষে! আর র‌্যাঙ্কিং? সেটা আফগানদেরও নিচে। এই পরিসংখ্যান হতাশার। তবে হতাশা কাটিয়ে ওয়ানডের মতো মাশরাফি বিন মোর্তুজার দল টি-২০ ফরমেটেও দাপটে দল হয়ে উঠতে চায়।

আগামী বছরের শুরুতে ঢাকায় টি-২০ ফরমেটের এশিয়া কাপ। তার একমাস পরেই ভারতে হবে টি-২০ বিশ্বকাপ। এরআগে বাংলাদেশকে যে শক্তিশালী দল হয়ে উঠতেই হবে।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজটা বাংলাদেশের জন্য ছিল পরীক্ষা। কিন্তু প্রথম ম্যাচে ১৩২ রাট করতে যেভাবে ঘাম ঝরেছে টাইগারদের, তাতে পাস মার্কের বেশী কিছু দেওয়া যায় না। ৮০ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে দারুণ চাপেও পড়ে গিয়েছিল মাশরাফির দল। শেষ পর্যন্ত ৪ উইকেটে ম্যাচ জিতে এটাই বুঝিয়ে দিল, ওয়ানডের মতো এই ফরমেটে তারা ততোটা সাহসী নয়।

শুক্রবার প্রথম ম্যাচের একাদশ নির্বাচন নিয়ে ছিল অনেক প্রশ্ন। ইনফর্ম ব্যাটসম্যান ইমরুল কায়েসকে না খেলিয়ে এনামুল হককে একাদশে রাখা হয়েছে। ধারাবাহিক ব্যর্থ হওয়া লিটন কুমার দাসও ছিলেন একাদশে। সবচেয়ে বড় প্রশ্ন ছিল লেগ স্পিনার যুবায়ের হোসেন লিখনের অর্ন্তভুক্তি। এই ম্যাচের আগে ২০ ওভার ম্যাচ খেলারই যার অভিজ্ঞতা নেই। ওর লেগ স্পিন বোলিংও এই ফরমেটে ততোটা কার্যকর নয়।

আগের ম্যাচের একাদশ সাঁজানো নিয়ে সেই প্রশ্ন সম্ভবত কালও থাকবে। একাদশ ঠিক করেন কোচ এবং অধিনায়ক। কালকের ম্যাচের একাদশ নিয়ে তাদের কোনো মন্তব্য না পাওয়া গেলেও মনে করা হচ্ছে প্রথম ম্যাচের একাদশ নিয়েই কাল মাঠে নামবেন মাশরাফি।

তবে একটা কড়া বার্তা কিন্তু নতুনদের জন্য দিয়ে রেখেছেন অধিনায়ক মাশরাফি। এবং তা হলো কালকের ম্যাচে ভালো করতে না পারলে দলে জায়গা ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়বে তাদের জন্য। মাশরাফি বলেন,‘এই ফরমেটে চাপের মধ্যে কিছু তরুণ খেলোয়াড় কেমন করে সেটা দেখানোর শেষ সুযোগ হচ্ছে দ্বিতীয় ম্যাচটা।’

বাংলাদেশের লক্ষ্য আরেকটা বাংলাওয়াশ।অন্যদিকে অন্তত একটা জয় নিয়ে দেশে ফিরতে চায় জিম্বাবুয়ে।টি-২০ ফরমেটে তুলনামূলক বাংলাদেশ যতোই দুর্বল হোক না কেন, জিম্বাবুয়ের চাওয়া বাস্ত রুপ পাওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। কালও ম্যাচটা শুরু ৫টায়।



মন্তব্য চালু নেই