‘শেষ বলে মাথা ঠিক রাখাটা কঠিন ছিল’

আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দারাবাদের হয়ে খেলতে বর্তমানে ভারতে রয়েছেন বাংলাদেশের বাঁ হাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। আইপিএলের প্রথম ম্যাচে চার ওভার বল করে দিয়েছেন মাত্র ২৬ রান। নিয়েছেন ডি ভিলিয়ার্স এবং শেন ওয়াটসনের উইকেট। স্বভাবতই বেশ উচ্ছ্বসিত মুস্তাফিজ। দ্বিতীয় ম্যাচে কলকাতার বিপক্ষে নামার আগে ভারতের অনলাইন পত্রিকা ‘মিড ডে’–তে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন।

ওই সাক্ষাৎকারের চুম্বক অংশ আওয়ার নিউজ বিডি’র পাঠকদের জন্য তুলে দেয়া হলো।

প্রথম দুই ওয়ানডেতে পাঁচ উইকেট নেয়ার ব্যপারে…
মুস্তাফিজ: এটা অবশ্যই গর্ব করার মতো মুহূর্ত। কিন্তু আমি অতীত নিয়ে ভাবতে চাই না। এটা ঠিক যে, ওই দুই ম্যাচের মাধ্যমেই আমি পরবর্তীতে দলে সুযোগ পেয়েছি, কিন্তু দলে ধারাবাহিকভাবে ভালো করতে পারলে সতীর্থ এবং কোচদের থেকেও অনেক সাহায্য পাওয়া যায়। এমনকি হায়দারাবাদের হয়েও আমরা বোলাররা একে অপরের শক্ত এবং দুর্বল জায়গাগুলো জানি।

প্রথম প্রাইজমানি দিয়ে কী করেছিলেন?
মুস্তাফিজ: প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচেই আমি পুরস্কার হিসেবে প্রাইজমানি পাই। পরিবার এবং বন্ধুদের নিয়ে ছোটখাটো মিলনমেলার আয়োজন করি ওই টাকা দিয়ে। আমি আইপিএল শেষে আবারো নিজের গ্রামের বাড়িতে ফিরে যাবো। আমি একটা মোটরবাইক এবং পরিবারের জন্য গাড়িও কিনেছি।

দক্ষতা ধরে রাখার ব্যপারে, বিশেষ করে কাটারগুলো সম্পর্কে…
মুস্তাফিজ: আসলে কেউ-ই আমাকে আলাদাভাবে এটা শেখায়নি। ছোটবেলা থেকেই অনুশীলন করতে করতে হয়ে গেছে। বিশেষ করে আমার ছোটবেলার কোচেরা এটা শিখিয়েছেন। এমনকি যখন আমি সানরাইজার্স হায়দারাবাদের ক্যাম্পে এই মাসের শুরুতে এলাম, ট্রেন্ট বোল্ট, আশীষ নেহরাসহ অন্যদের সঙ্গে অনুশীলন করি, সেটা আমার জন্য অনেক শিক্ষণীয় ব্যাপার। প্রত্যেকেই তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করছে একে অপরের সঙ্গে। এতে করে আমার অনেক উপকার হচ্ছে নিজের বোলিংকে উন্নত করতে। আমি আশাবাদী, আইপিএল থেকে অনেক অভিজ্ঞতা নিয়ে দেশে ফিরতে পারবো।

বোলিংয়ের সময় আপনার হাতের কবজির পজিশন নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে…
মুস্তাফিজ: আসলে এটা এমনিতেই চলে আসে। অবশ্যই মানুষ আমাকে উপদেশ দিচ্ছে ওই পজিশনে কিছুটা পরিবর্তন আনার জন্য। কিন্তু বেশিরভাগ কোচই আমার এভাবে বোলিং করা দেখে খুশি।

বিশ্বকাপ টি-টোয়েন্টিতে ভারতের বিপক্ষে শেষ ওভার সম্পর্কে…
মুস্তাফিজ: তখন আসলে অনেকটা এলোমেলো অবস্থায় ছিলাম। কিন্তু আমাদের ফোকাস ছিল আমরা কী করতে পারি আর না পারি। স্টেডিয়ামের আবহাওয়াও ছিল উত্তেজনায় পরিপূর্ণ। ওই অবস্থায় আসলে নিজের মাথা ঠিক রাখাটা সহজ কাজ নয়। আমরা ঠিক ওই সময়টাতে অনেক কঠিন পরস্থিতির মধ্যে দিয়ে গেছিলাম।

শেষ রান নেয়ার সময় ধোনি কি স্বাভাবিকের চেয়ে দ্রুতগতিতে দৌড়িয়েছিলেন?
মুস্তাফিজ: আমি জানি না। এটা বলাটা আসলে কঠিন।

ওই ম্যাচ হারের পর বাংলাদেশ ক্যাম্পের অবস্থা কেমন হয়েছিল?
মুস্তাফিজ: আসলে সবাই জিততে পছন্দ করে, বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলোতে। জয়ের একদম দ্বারপ্রান্তে এসে এভাবে হেরে যাওয়াটা সবাইকে মানসিকভাবে অনেক ভেঙে দিয়েছে। কিন্তু ড্রেসিংরুমে সবাই বিষয়টি স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছিল। আমরা গ্রুপ হিসেবে একসঙ্গে অনেকদিন ধরে খেলছি যেটা একে অপরের মাঝে সম্পর্ক উন্নত করতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। আমরা জানি আমরা এর থেকেও ভালো কিছু করতে পারবো। আমরা প্রতিজ্ঞা করেছি, আমরা আরো শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসবো এবং শেষ সময়ে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়বো।



মন্তব্য চালু নেই