শেষ দেখার প্রস্তুতি কামারুজ্জামানের পরিবারের
যুদ্ধাপরাধী কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকর হওয়ার আগে শেষবারের মতো তার সঙ্গে দেখা করার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন পরিবারের সদস্যরা।
দেখা করার ব্যাপারে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ এখনও পরিবারকে কোনো চিঠি না দিলেও আইনজীবীদের মাধ্যমে আবেদন করে দেখা করার চেষ্টা করছেন তারা।
বুধবার (০৮ এপ্রিল) বিকেলে এ তথ্য জানিয়েছেন কামারুজ্জামানের বড় ছেলে হাসান ইকবাল।
তিনি বলেন, আইনজীবীরা আমাদের দেখা করার আবেদন প্রস্তুত রাখতে বলায় আমরা তা প্রস্তুত রেখেছি। তারা খবর পাঠালেই আমরা কেন্দ্রীয় কারাগারের দিকে রওনা হব।
গত সোমবার (০৬ এপ্রিল) ফাঁসির রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন খারিজের রায়ের পর ওই দিন রাতে কামারুজ্জামানের সঙ্গে দেখা করেন পরিবারের সদস্যরা।
তবে হাসান ইকবাল বলছেন, ওই দেখাই শেষ দেখা নয়। কারণ, শেষ দেখা হলে সাধারণত আসামিকে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাতের সুযোগ দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, সেদিন বাবার সঙ্গে আমাদের সরাসরি সাক্ষাত হয়নি। আমরা সেলের গেট খুলে দিতে বললে কারা কর্তৃপক্ষ আমাদের বলেছে, আপনারা সম্ভবত আরেকবার দেখা করার সুযোগ পাবেন।
হাসান ইকবাল বলেন, কারা কর্তৃপক্ষ কোনো চিঠি না দিলেও আমরা আইনজীবীর মাধ্যমে আবেদন করে দেখা করার চেষ্টা করবো।
কামারুজ্জামানের সঙ্গে শেষ দেখা করার জন্য পরিবারের সদস্যরা মানসিকভাবে প্রস্তুত বলেও জানিয়েছেন বড় ছেলে হাসান ইকবাল।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামানের রিভিউ আবেদন খারিজের পূর্ণাঙ্গ রায়ে বিচারপতিদের স্বাক্ষর হওয়ার পর ইতোমধ্যেই তা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বিচারিক আদালত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে।
দুপুরে রায়ে স্বাক্ষর করেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ। বেঞ্চের অন্য তিন সদস্য হলেন বিচারপতি আব্দুল ওয়াহহাব মিয়া, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী।
রায়ের কপি পাঠানো হবে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ঢাকার জেলা প্রশাসকের (জেলা ম্যাজিস্ট্রট) কাছে। রায়ের কপি পাওয়ার পর ফাঁসি কার্যকরের চূড়ান্ত প্রক্রিয়া শুরু করবেন কারা কর্তৃপক্ষ।
মন্তব্য চালু নেই