শেরপুরেই কামারুজ্জামানের কবর

জামায়াতের সিনিয়র সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকরের পর তার নিজ জেলা শেরপুরের মাটিতে তার লাশ দাফন করতে না দেয়ার অবস্থান থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন জেলার মুক্তিযোদ্ধারা। ফলে শেরপুরে লাশ দাফনে আর কোনো বাধা থাকল না।

শনিবার সন্ধ্যায় সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশনায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষ রজনীগন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত এক বিশেষ সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাকীর হোসেনের অনুরোধে মুক্তিযোদ্ধা নেতৃবৃন্দ তাদের আলটিমেটাম প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।

জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডার নুরুল ইসলাম হীরু ওই আলটিমেটাম প্রত্যাহারের পাশাপাশি কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকর হলে রোববার সকালে জেলা সদরসহ অন্যান্য উপজেলায় আনন্দ মিছিল করারও ঘোষণা দেন।

ওই সময় পুলিশ সুপার মো. মেহেদুল করিমসহ প্রশাসনের অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলার সাথে সম্পৃক্ত একাধিক সংস্থার কর্মকর্তা এবং মুক্তিযোদ্ধা নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

শেরপুরের মাটিতে কামারুজ্জামানের লাশ দাফন করতে না দেয়ার আলটিমেটাম প্রত্যাহারের সত্যতা নিশ্চিত করে জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডার নুরুল ইসলাম হীরু বলেন, ‘সরকার যেহেতু কঠিন অবস্থান নিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করছে, সেহেতু রায় বা ফাঁসি কার্যকরের পরবর্তীতে ভিন্নরূপ অবস্থা সৃষ্টি না হোক সে বিষয়ে সরকারের অবস্থান অত্যন্ত স্পষ্ট। ওই অবস্থায় সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনসহ বিভিন্ন সংস্থার অনুরোধে আমরা ওই কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছি।’



মন্তব্য চালু নেই