শেখ মুজিবকে জাতির জনক বলে মূর্খরা : কাজী জাফর

শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির জনক বলাটা মূর্খ এবং অশিক্ষিতদের কাজ বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী কাজী জাফর আহমদ।

রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ভাসানী অনুসারী আয়োজিত শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের ৫২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, আইন ও জোর করে শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির জনক বলাটা মূর্খতা। বরং এতে তাকে অসম্মানই করা হয়। পৃথিবীর কোনো দেশেই এমন নজির নেই। এটা আসলে আবেগ ও অনুভূতি থেকে বলা হয়।

যারা সর্বদা একজনকে জাতির পিতা বানানোর জন্য ব্যস্ত থাকেন, তাদের মধ্যে অশিক্ষা ও মূর্খতা ছাড়া আর কিছুই নেই। আমেরিকা, ভারত- এরাও একজনকে জাতির জনক বানানোর জন্য ব্যস্ত থাকে না। এমনকি ভারতের সংবিধানেও মহাত্মা গান্ধীকে জাতির পিতা করা হয়নি।

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা যদি চিন্তা করে থাকেন তিনি আজীবন ক্ষমতায় থাকবেন, তাহলে ভুল করবেন। তাকে অনুরোধ করব, ইতিহাস ভুলে যাবেন না। একতরফা ক্ষমতায় কিন্তু কেউ থাকতে পারেনি, আপনিও পারবেন না।’

তিনি আরো বলেন, ভারতের নির্বাচন বাংলাদেশের পরিস্থিতি পাল্টে দিতে পারে। এই নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য টার্নিং পয়েন্ট। এই নির্বাচনের ফলাফলে গুণগত পরিবর্তন না হলেও পরিমাণগত পার্থক্য অবশ্যই হবে।

বর্তমানে দেশে একটা গুমোট আবহাওয়া চলছে উল্লেখ করে কাজী জাফর আরো বলেন, নৈরাজ্য ও হতাশায় জাতি আজ নিমজ্জিত। তবে রাজনীতির ইতিহাস যদি সত্যি হয়, তাহলে এই অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে অবশ্যই জাতি মুক্তি পাবে।
সরকারকে ফ্যাসিবাদ উল্লেখ তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের সরকারের আমলে গণতান্ত্রিক আন্দোলন থমকে যায়। তবে এটা খুব বেশি দিন থাকে না। গণতন্ত্রের জোয়ার কখন কীভাবে বিকশিত হবে, তা কেউ জানেন না।

শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হককে নিয়ে পত্রিকায় যতটুকু লেখা হয়েছে, তা খুবই লজ্জাজনক। ইতিহাস থেকে জাতীয় ব্যক্তিত্বদের নাম মুছে ফেলার যে ষড়যন্ত্র চলছে, তা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না।

ভাসানী অনুসারী পরিষদের নির্বাহী চেয়ারম্যান ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. জসিম উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোস্তফা জামাল হায়দার, শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু ও খালেকুজ্জামান চৌধুরী।



মন্তব্য চালু নেই