শীত মৌসুমে কৃষিতে বিজ্ঞানের নতুন অবদান মিন্টু টমেটো
শীত মৌসুমে অন্যতম সবজি ভিটামিনে ভরপুর নতুন প্রজাতির টমেটো মিন্টু শিঘ্রই বাজারে আসছে। বগুড়া সারিয়াকান্দির হাটফুলবাড়ী নয়াপাড়া গ্রামের মিন্টু টমেটো চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষীরা। এরইমধ্য চাষীদের জমিতে গাছে গাছে লাল টুকটুকে রসালো মিন্টু টমেটোর হাতছানি দেখা দিয়েছে। জমিতে উৎপাদিত শ’শ মন টমেটো বাজারজাত করে মোটা অংকের টাকা পাওয়ার স্বপ্নে বিভোর। স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, উপজেলার হাটফুলবাড়ী নয়াপাড়া গ্রাম সবজি গ্রাম হিসেবে পরিচিত। এ গ্রামের শতাধিক চাষী বছর জুড়ে বিভিন্ন রকম সবজির চাষ করেন থাকেন। সবজি চাষ করে তারা কেউ স্বাবলম্বি হয়েছেন আবার কেউবা হয়েছেন লাখপতি। গত বছর প্রতিকুল আবহাওয়ার কারণে ফলন খুব একটা ভাল হয়নি। আবার যেটুকু ফলন হয়েছে তাও রাজনৈতিক অস্থিরতায় উৎপাদিত পণ্য বিভিন্ন স্থানের পাইকার না আসায় চাষীদের ব্যাপক লোকসান গুনতে হয়েছে। কিন্তু চলতি মৌসুমে সেসব চাষীরা বুক ভরা আশা নিয়ে টমেটো সহ সবজির ফসলাদি চাষে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। ওই গ্রাম ছাড়াও পার্শ্ববর্তী শালুকগাড়ী, কুশাআটা, হরিনা, বালুয়ারতাইড়, দরগাতলী, ভিটেপাড়া, মাঝবাড়ী, নারচী, কাটাখালী ও চৌকিবাড়ী গ্রামের চাষীরা শতাধিক বিঘা জমিতে টমেটোর প্রতিযোগীতা মুলক চাষ করে সারা জাগিয়েছেন। প্রতি বিঘা জমিতে কমপক্ষে ৩ হাজার চারাগাছ রোপন করা হয়েছে এর প্রতিটি গাছ থেকে ফল পাওয়া যাবে ৫/৬ কেজি। সর্বশেষ গতকাল ঘুরে দেখা যায়, আগাম মিন্টু টমেটো চাষীদের জমিতে আর মাত্র ২০/২১ দিনের মধ্যই শ’শ মন পাকা রসালো মিন্টু টমেটো বাজারজাত করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন। মোল্লাপাড়া গ্রামের টমেটো চাষী আব্দুল লতিফ জানান, ৪৫ শতক জমিতে সে এবার মিন্টু নামে উন্নত জাতের আগাম টমেটো চাষ করেছেন। এতে তার হালচাষ, চারাগাছ ক্রয়, সার-কীটনাশক, শ্রমিক, বাঁশ ও পাটখড়ির সম্বনয়ে তৈরি মাচা বা জাংলা বাবদ এ পর্যন্ত মোট খরচ হয়েছে প্রায় ১৮ হাজার টাকা। এছাড়াও জমি ও নিজের হার ভাঙ্গা খাটুনিতো রয়েছেই। তবে জমিতে টমেটোর গাছে গাছে অগনিত ফুল ও ফল দেখে অল্পদিনের মধ্যই পাকা টমেটো বাজারজাত করে মোটা অংকের টাকা আয় করা সম্ভব হবে বলে চাষীদের ধারনা। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সোহেল মোঃ সামচউদ্দীন ফিরোজ জানান, ওই গ্রামের সবজি চাষীরা অত্যন্ত পরিশ্রমি। আশাকরি আমাদের পরামর্শক্রমে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মিন্টু টমেটো চাষ করায় ব্যাপক সফলতা এবং পরিশ্রমের ফল তারা পাবেন।
মন্তব্য চালু নেই