শিশু বিবাহে বাংলাদেশ দ্বিতীয়
দেশে প্রতি ১০ জন কন্যাশিশুর মধ্যে সাত জনেরই ১৮ বছরের আগে বিয়ে হয়। এ পরিসংখ্যান অনুযায়ী বিশ্বে শিশু বিবাহের দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনে পরিসংখ্যানটি তুলে ধরে ইনেশিয়েটিভস ফর ম্যারেড অ্যাডোলেসেন্ট গার্লস এমপাওয়ারমেন্ট (ইমেজ) নামক একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা। শুক্রবার (২০ নভেম্বর) বিশ্ব শিশু দিবসকে সামনে রেখে ‘বিবাহিত কন্যাশিশু সপ্তাহ’ পালন উপলক্ষে সংস্থাটি এই পরিসংখ্যান তুলে ধরে।
পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, পৃথিবীতে যেসব দেশে শিশুবিবাহের হার সবচেয়ে বেশি তাদের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। বাংলাদেশে প্রতি ১০ জন মেয়ের মধ্যে সাত জনেরই ১৮ বছরের আগে বিয়ে হয়ে যায়। এখানে প্রতিবছর ২৩ লাখ ৫৯ হাজার মেয়ের বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, শিশু বিবাহ যে ক্ষতিকর তা বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত এবং এটি বন্ধে দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। অল্পবয়সে কন্যাশিশুদের বিয়ে বন্ধ করা যেমন প্রয়োজন, তেমনি যাদের বিয়ে হয়ে গেছে তাদের অধিকারও রক্ষা করা দরকার।
বিশ্ব শিশু দিবস উপলক্ষে সংস্থাটি সাত দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। যা শুরু হয়েছে আজ বৃহস্পতিবার থেকে। গৃহীত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে বিবাহিত কন্যাশিশুদের জীবনের বঞ্ছনা নিয়ে তাদের লেখা চিঠি প্রকাশ, সংবাদপত্রে বিশেষ পাতা প্রকাশ, টিভি টকশো, ইমেজ কুইজ-ইন্টারেক্টিভ গেম, অনলাইন নলেজ ও অ্যাডভোকেসি প্লাটফরমের আত্মপ্রকাশ, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র থেকে ইমেজ জাতীয় সেমিনার সরাসরি অনলাইন সম্প্রচার ও সেলিব্রেটিদের সাক্ষাৎকার।
প্রসঙ্গত, ইমেজ বাংলাদেশের তিনটি উত্তরাঞ্চলীয় জেলা (নীলফামারী, গাইবান্ধা, এবং কুড়িগ্রাম) বিবাহিত কন্যাশিশুদের নিয়ে কাজ করছে। যার অর্থায়ন করছে এমব্যাসি অব দ্য কিংডম অব নেদারল্যান্ডস (ইকেএন)। প্রজেক্টটির যৌথ উদ্যোক্তা তের দেসোম নেদারল্যান্ডস, রেডঅরেঞ্জ মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশনস লিমিটেড, তের দেসোম-লুসান, এসকেএস ফাউন্ডেশন এবং পল্লীশ্রী।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন টেরিডাস হোমস্ এনএন জাতীয় সমন্বয়ক শিশু সুরক্ষা মরিয়ম নেছা, কান্ট্রি ডিরেক্টর মাহমুদুল কবির, ইমেজের প্রকল্প পরিচালক ফারহান জেসমিন হাসান, রেড অরেঞ্জ প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অর্ণব চক্রবর্তী, বিএসএএফ পরিচালক আব্দুস শহিদ মাহমুদ।
মন্তব্য চালু নেই