শিশুর সঠিক বৃদ্ধিতে কার্যকরী ৬ খাবার

শিশুর সুন্দর শৈশব এবং অনাবিল ভবিষতের জন্য দরকার সঠিকভাবে বেড়ে ওঠা। তার লেখাপড়া, খেলাধুলা এবং জীবপযাপনকে আনন্দময় করে তুলতে সুস্থ-স্বাভাবিক জীবন একান্ত কাম্য। শিশুর মেধা বিকাশ ও চর্চায় দরকার ঠিক ভাবে বেড়ে ওঠা। শিশুর এই বেড়ে ওঠাকে নিশ্চিত করতে আমরা হরেক রকম পুষ্টিকর খাবারের তালিকা সাজায়। কিন্তু উপকারী কিছু খাবার সে তালিকায় রাখতে একদম ভুলে যাই। অথবা শিশুর জন্য সেসব খাবারের গুরুত্ব বুঝি না। আজ জেনে নেয়া যাক তেমন ছয়টি খাবারের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে, যা শিশুর বৃদ্ধিতে সাহায্য করে দারুণভাবে।

কালো আঙুর

কালো আঙুরের গাঢ় নীল রঙে আছে এন্থসায়ানীন ফ্লেভনয়েড। শিশুর চোখের জন্য এন্থসায়ানীন ফ্লেভনয়েড খুবই উপকারী। নিয়মিত পরিমিত পরিমাণ আঙুর খেলে মস্তিষ্কের উন্নয়ন এবং মুত্র নালীর গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে শিশুর বয়স দুয়ের বেশি না হলে নিয়মিত আঙুর খাওয়ানো ঠিক নয়। বেশি খেলে আঙুরে থাকা অ্যালকোহল শিশুর শরীরে ক্ষতির কারণ হতে পারে।

দই

দই একটি মজাদার খাদ্য। ছোটবড় সবাই দই খুব আগ্রহের সঙ্গে খেয়ে থাকেন। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, মস্তিষ্ক এবং হার্টের সুস্থতা নিশ্চিত করতে দইয়ের তুলনা হয় না। এটি ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি এর একটি চমৎকার উৎস। শিশুর হাড় এবং দাঁত ঠিক রাখতে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি সরবারহ হতে পারে দইয়ের মাধ্যমে। খাদ্য নালীতে উপকারী অনুজীব সৃষ্টি করে হজমে সহায়তা করে। তাই আপনার বাচ্চাটি নতুন খাবার খেতে শিখলে তাকে মাঝে মাঝে ভালো মানের দই খেতে দিতে পারেন। দেখবেন সেও বেশ আগ্রহভরে দই খাচ্ছে।

ডাল

আমিষ এবং খাদ্যআঁশে পূর্ণ খাবার ডাল। সস্তার মধ্যে ডাল সবচেয়ে উত্তম। নরম করে চাল-ডালে খিচুড়ি বাচ্চাদের বেশ প্রিয় খাবার। তাদের খাওয়াতেও সুবিধা। তাই বাচ্চার বয়স ছয় মাসের পর থেকে নিয়মিত খিচুড়ি খাওয়াতে হবে।

ব্রুকলি

ব্রুকলিতে রয়েছে ফলেট, ক্যালসিয়াম এবং সালফার কমপাউন্ড। ব্রুকলিকে ক্যানসার প্রতিরোধের খাদ্যও বলা হয়। চমৎকার সুগন্ধি এই সবজি বাচ্চার খাবারে স্বাদ পরিবর্তন করতে সক্ষম। তাই বাচ্চার খাবারের তালিকায় ব্রুকলি রাখতে পারেন নিশ্চিন্তে।

আলুবোখারা

আলুবোখারাতে রয়েছে আঁশ, যা কন্সটিপেশন বা কোষ্টকাঠিন্য সারাতে সাহায্য করে। এটি খাওয়ানো পাশাপাশি শিশুকে শক্ত খাবারের সঙ্গে পরিচয় করাতে পারেন। আলুবখারাকে মিশিয়ে নিন, তারপর যে কোনোও খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে দিন। আলুবোখারা থাকা আচারের স্বাদ শিশুদের খুবই পছন্দের। যদি বাচ্চার কোষ্ঠকাঠিন্য থাকে তবে ২টি আলুবোখারার জুস খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে দিন। ঠিক হয়ে যাবে।

মাংস

এটি আমিষের পাশাপাশি জিঙ্ক এবং আয়রনের ভালো উৎস। তাই বাচ্চার মাংস খাওয়ার অভ্যাস রাখা ভালো। মাংসকে ভাপে সেদ্ধ করলে পুষ্টি উপাদানগুলো ঠিক থাকে। এর সঙ্গে একটু আদা দিন এবং ইচ্ছে করলে সবজিও মেশাতে পারেন। এটি শিশুর জন্য একটি আদর্শ খাবার হতে পারে।



মন্তব্য চালু নেই