‘শিশুদের পুড়িয়ে মারার মতো প্রতিহিংসা চাই না’

বঙ্গবন্ধু দেশ-মানুষের জন্য জীবন দিয়েছেন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমরা চাই না আমাদের শিশুদের পেট্রোল বোমায় পুড়িয়ে মারা হোক। ককটেল মেরে হত্যা করা হোক। শিশুদের পুড়িয়ে মারার মতো প্রতিহিংসা আমরা চাই না।’ ‘বঙ্গবন্ধু এই দেশ ও মানুষের জন্য তার জীবন উৎসর্গ করেছেন। আজ তার জন্মদিনে আমাদের প্রতিজ্ঞা হবে এদেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত এক সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলা।’
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার টুঙ্গিপাড়াস্থ বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ শেষে শিশু সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের শিশুদের সুন্দর ভবিষৎ ও সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টির ওপর অধিক গুরুত্ব দেয়ার কথা উল্লেখ করে বলেন, শিশুদের ভবিষ্যৎ সুন্দর করার লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। ‘আমরা চাই না এ দেশে মানুষ পুড়িয়ে মারা হোক, শিশুদের পুড়িয়ে মারা হোক, অন্তঃসত্ত্বা নারীদের পুড়িয়ে মারা হোক। আমরা চাই না আমার দেশের শিশুরা এ ধরনের প্রতিহংসার শিকার হোক।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। তার নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। বিশ্ব দরবারে আমরা পরিচিতি পেয়েছি। আমরা একটি দেশ পেয়েছি। জাতির পিতা শিশুদের খুব ভালোবাসতেন। তিনি চেয়েছিলেন প্রতিটি শিশু লেখাপড়া করবে, এদেশের নেতৃত্ব দিবে। তাই বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনকে ‘জাতীয় শিশু দিবস’ হিসেবে আমরা ঘোষণা করেছি।’
শেখ হাসিনা,তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে ঝরে পড়া ছেলেমেয়েদের সংখ্যা কমে গেছে। নতুন নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হচ্ছে। ছেলেমেয়েদের জন্য বিনা মূল্যে বই দেওয়া হচ্ছে।’
তিনি ছেলেমেয়েদের উদ্দেশে বলেন, ‘ভালো করে পড়াশুনা করবে। বড় হতে হলে পড়াশুনা করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে কোনো মানুষ গরিব থাকবে না। থাকার ঘর, শিক্ষার ব্যবস্থা, চিকিৎসার ব্যবস্থা- আমরা সেগুলো পূরণ করে দিচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শুধু লেখাপড়া শিখলে পূর্ণাঙ্গ মানুষ হয় না। এর সঙ্গে খেলাধুলার প্রয়োজন আছে।’
এছাড়া বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিশু ও মহিলা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, ‘এদেশে রাজাকার-আলবদরদের বিচার করা হচ্ছে। পেট্রোলবোমা মেরে যারা এদেশে শিশুদের হত্যা করছে তাদেরও এদেশে বিচার করা হবে।’
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন শিশু শিক্ষার্থী আশুরা ইসলাম। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিশু ও মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব তারিক উল ইসলাম, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার জিল্লার রহমান ও গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. খলিলুর রহমান।
এর আগে ৯৬তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা।
সকাল ১০টা ১৩ মিনিটে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের পর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও এলজিআরডি মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতারা বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এ সময় কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, শিশু ও মহিলা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকী, আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশারফ হোসেন, শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি, লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান এমপি, ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এমপি, এফবিসিসিআই সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ ও কেন্দ্রীয় এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা এ সময় উপস্থিতি ছিলেন।



মন্তব্য চালু নেই