শিম্পাঞ্জিদের রয়েছে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান! [ভিডিও]

বিবর্তনবাদ অনুসারে মানুষের সাথে শিম্পাঞ্জির ঘনিষ্ঠ জিনগত সম্পর্ক রয়েছে। ইতিমধ্যেই শিম্পাঞ্জিদের অনেক আচরণ মানুষের কাছে বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছে তবে সাম্প্রতিক একটি ভিডিওতে শিম্পাঞ্জির আরও অদ্ভুত এক আচরণ ধরা পড়েছে যেটা দেখে ধারণা করা হচ্ছে, শিম্পাঞ্জিরা পবিত্র আচার অনুষ্ঠান পালন করে এবং তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস রয়েছে।

বলা হয় পঞ্চাশ লাখ বছর থেকে এক কোটি বিশ লাখ বছর আগের মধ্যবর্তী কোন এক সময়ে শিম্পাঞ্জি আর মানুষের মাঝখানের পার্থক্য বিবর্তিত হয়েছে। এমনকি ১৯৭৩ সালে মার্কিন জিনতত্ত্ববিদ ম্যারি ক্লেয়ার কিং একটি গবেষণায় শিম্পাঞ্জির সাথে মানুষের ডিএনএ’র ৯৯ শতাংশ মিল দেখতে পান, যদিও পরবর্তী পরীক্ষাগুলোতে মিল পাওয়া যায় ৯৪ শতাংশ। কিন্তু অনেকেই এই মিল মেনে নিতে নারাজ, তবে ভিডিও ফুটেজ বলছে ভিন্ন কথা।

2016_05_22_18_03_00_hXrA9ZkoyBPuW4OlHsT0ILLtede4bm_original

ভিডিওতে পশ্চিম আফ্রিকার শিম্পাঞ্জিদের দেখা গেছে মাঝারি আকারের পাথর খণ্ড তুলে নিয়ে গাছের গায়ে আঘাত করতে কিংবা জোরে ছুঁড়ে মারতে। এছাড়া তাদেরকে গাছের গুঁড়ির ফাঁকে পাথর নিয়ে জড়ো করতেও দেখা গেছে। ঐ পাথরগুলো অন্য কোন ভাবে তারা ব্যবহার করে না। ধারণা করা হচ্ছে, শিম্পাঞ্জিদের এই ব্যবহার আসলে প্রথম দিককার এক ধরনের ধর্মীয় বিশ্বাস কিংবা অনুষ্ঠান। শিম্পাঞ্জিদেরও হয়তোবা ধর্ম বিশ্বাস ছিল, কিংবা এমনও হতে পারে যে তারা সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস করে।

যেহেতু মানুষের সাথে শিম্পাঞ্জির একটা বিবর্তনগত মিল রয়েছে, কাজেই শিম্পাঞ্জিদের আচরণগত এই নয়া আবিষ্কার হয়তো গবেষকদের মানুষের ধর্ম বিশ্বাস ও আচার অনুষ্ঠানের উৎপত্তি খুঁজে বের করতে সাহায্য করবে।

পশ্চিম আফ্রিকার জঙ্গলে গোপন ক্যামেরা বসানো হয়েছিল শিম্পাঞ্জিদের কার্যক্রম দেখার জন্য। কিন্তু তাদের পাথর জড় করার প্রক্রিয়া দেখে মানুষের সাথে একটা মিল পাওয়া গেছে কারণ সভ্যতার শুরুর ইতিহাস বলে একটা সময় প্রাচীন মানুষও ধর্মীয় আচার হিসেবে এটা করতো।

যদিও এটা নতুন আবিষ্কার কারণ আগে কখনোই এ ধরনের গদবাঁধা আচরণ দেখা যায় নি শিম্পাঞ্জদের মাঝে, কিন্তু তবু এটা সামান্য একটা সূত্র মাত্র। এটা নিয়ে গবেষণা করা যেতে পারে, কিন্তু প্রকৃত কোন ফলাফল আদৌ পাওয়া যাবে কিনা সেটা দেখার বিষয়। এমনও হতে পারে এই আচরণের পেছনে কোন প্রাকৃতিক কারণ রয়েছে। কোন ধরনের ধর্ম বিশ্বাস বা অনুষ্ঠান নেই।



মন্তব্য চালু নেই