শিক্ষামন্ত্রীর উপর চটলেন ছাত্রলীগ সভাপতি

চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ ও মহসিন কলেজে ছাত্রশিবিরের কর্মকাণ্ডকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হিসেবে উল্লেখ করে ছাত্রলীগ সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ বলেছেন, ‘শিবিরের এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে শিক্ষামন্ত্রীর নিরবতা আমাদের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের উদ্যোগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। প্রশাসনের পৃষ্ঠপোষকতায় শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করে জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাস সৃষ্টির প্রতিবাদে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ছাত্রলীগ।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ বলেন, ‘চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ ও মহসিন কলেজ থেকে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। কলেজ প্রশাসনের সহায়তায় শিবিরের নেতাকর্মীরা এই অস্ত্রের ভাণ্ডার মজুদ করে। এর সঙ্গে কলেজ দু’টির শিক্ষক ও প্রশাসনের কর্মচারীরা সরাসরি জড়িত।’

তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও দিনাজপুরের হাজী দানেশ বিশ্ববিদ্যালয়সহ আরো বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্ত্রের মজুদ রয়েছে। আইএস’র এজেন্টশিপ নেয়ার জন্যই ছাত্রশিবির এই অস্ত্রের মজুদ করেছে।’

তিনি শিক্ষামন্ত্রী বরাবর অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘এখনই কলেজ দু’টির শিক্ষকদের অন্যত্র বদলি করে ও মেধারভিত্তিতে কলেজ হোস্টেলে আসন বণ্টন করে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করুন। অন্যথায় এসব সন্ত্রাসীদের অস্ত্রে যে কোনো সময় শিক্ষার্থীদের জীবন বিপন্ন হতে পারে।’

সংবাদ সম্মেলনে তিনি ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে সাতটি দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলো হলো- অবিলম্বে চট্টগ্রাম সরকারি ও মহসিন কলেজ ছাত্রবাস বন্ধ করে দিতে হবে, ক্যাম্পাসগুলোতে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করতে হবে, কলেজ প্রশাসনকে ঢেলে সাজাতে হবে, প্রগতিশীল ভাবধারায় বিশ্বাসী শিক্ষকদের নিয়োগ দিতে হবে, উভয় ক্যাম্পাসে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণ করতে হবে, ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে এবং জঙ্গি সংগঠন শিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি মেহেদী হাসান মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক ওমর শরীফ, কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শামছুল কবির রাহাত, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই