শিক্ষক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি জারি
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। সোমবার (৬ জুন) বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) এ বিজ্ঞপ্তি জারি করে। এর মাধ্যমেই ৭ মাস ধরে বন্ধ থাকা এন্ট্রি লেভেলের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া পুণরায় চালু হচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৩০ জুনের মধ্যে শূন্য পদগুলোর জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে চাহিদা পেশ করতে হবে নিবন্ধন করতপক্ষের কাছে। এছাড়াও আগ্রহী প্রার্থীদের ২৮ জুলাই এর মধ্যে সংশ্লিষ্ট পদে অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
ওয়েবসাইটের (http://ngi.teletalk.com.bd বা http://www.ntrca.gov.bd) মাধ্যমে ৬-২৫ জুন পর্যন্ত শূন্য পদের চাহিদা পূরণের নির্দেশ দিয়েছে এনটিআরসিএ।
প্রাপ্ত চাহিদাসমূহ একত্র করে আগামী ৩০ জুন এনটিআরসিএ’র ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। আগ্রহী প্রার্থীরা আগামী ২৮ জুলাইয়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট পদে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য এনটিআরসিএ-এর ওয়েবসাইটে (http://www.ntrca.gov.bd) পাওয়া যাবে।
গতবছর সরকার দেশের সকল বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক নিয়োগের জন্য মেধার ভিত্তিতে প্রার্থী বাছাই কারার দায়িত্ব বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যায়ন কর্তৃপক্ষকে (এনটিআরসিএ) প্রদান করে। এ কার্যক্রম শুরুর পূর্বশর্ত হিসেবে এনটিআরসিএ’র পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
যে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছে; সে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহকে শূন্য শিক্ষক নিয়োগ করতে হলে এখন থেকে এনটিআরসিএ’র নিকট আনলাইনে চাহিদা পেশ করতে হবে।
গত বুধবার শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ জানান, বেসরকারি স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসায় পুরনো নিবন্ধনধারীরাও যাতে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান সে ব্যবস্থা রাখা হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশে বর্তমানে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে ২৮ হাজার ৩৮৩টি। এর বাইরেও কয়েক হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এসব প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৫০ হাজার শিক্ষকের পদ খালি রয়েছে।
যাঁরা নিয়োগের অপেক্ষায়: এ পর্যন্ত ১২টি নিবন্ধন পরীক্ষার মাধ্যমে ছয় লাখ প্রার্থী শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও তাদের মধ্যে ৬৪ হাজার ৩২২ জন শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। নতুন নিয়ম অনুসারে নিবন্ধন সনদের মেয়াদ তিন বছর করা হয়েছে। নিয়োগের পদ্ধতি বদলে যাওয়ায় পুরনো নিবন্ধনধারীরা দোদুল্যমানতায়।
গত বছরের ২২ অক্টোবর এসআরও জারির মাধ্যমে বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে ম্যানেজিং কমিটির ক্ষমতা খর্ব করা হয়েছে। ফলে অধিকাংশ সংসদ সদস্যরা প্রথমদিন সংসদে হইচই ও বিরোধীতা করলেও উচ্চমহলে নির্দেশে চুপসে গেছেন পরবর্তীতে।
অধিকাংশ ক্ষেত্রে ম্যানেজিং কমিটিতে স্থানীয় রাজনৈতিক কিছু বেহুদা নেতা-কর্মীরা ঢুকে পড়েছেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ব্যবসা হিসেবে নিয়েছেন অনেকে। টাকার বিনিময়ে অযোগ্য লোক শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাচ্ছিল গত ১৫ বছর ধরে। ২০০৫ খ্রিস্টাব্দে নিবন্ধন পরীক্ষা শুরুর পর থেকে গুণগত মান কিছুটা হলেও নিশ্চিত হলেও নিয়োগে টাকা লেনদেন দিনদিন বেড়েই চলছিল।
সরকার একটা উদ্যোগ নিয়েছেন নিয়োগে স্বচ্ছতা আনয়ন ও গুণগত মানের উন্নতিকল্পে। সারাদেশের মানুষ এ পদক্ষেপে যারপরনাই খুশি হয়ে স্বাগতম জানিয়েছেন।
মন্তব্য চালু নেই