শাহরুখ, অক্ষয়রা আছেন, কিন্তু কেন হারিয়ে গেলেন ববি দেওল? নয়া রূপে খুললেন মুখ

‘বারসাত’ ছবি দিয়ে বলিউডে আগমন ঘটেছিল ববি দেওলের। একটা সময় তাঁকে বলিউডের অন্যতম প্রতিভাবান বলে চিহ্নিত করা হয়েছিল। রোম্যান্টিক-অ্যাকশনে অদ্বিতীয় বলেও তকমা পেয়েছিলেন।

তাঁর ‘ফ্ল্যামবয়েন্ট লুক’ একটা সময় উঠতি বয়সের মেয়েদের কাছে জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। রোম্যান্সের সঙ্গে সঙ্গে ধুন্ধুমার অ্যাকশনই ছিল ববি দেওলের ইউএসপি। বলিউডের একাধিক মেগাবাজেটের ছবি রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। কোনও দিন সলমন, আমির বা শাহরুখ খান হওয়ার মতো সম্ভাবনা দেখাতে পারেননি, কিন্তু বলিউডে তাঁর পায়ের তলার মাটি যথেষ্টই শক্ত ছিল। এহেন ববি দেওল আজ বলিউড থেকে অদৃশ্য। তাঁর ঝাঁকড়া চুল, পেশীবহুল চেহারায় মুখে এক নব্য প্রেমিকের লাজুক হাসি নিয়ে নায়িকাকে বলে ওঠা ‘সোলজার সোলজার’ ডাক আজ হারিয়ে গিয়েছে। ভারতীয় সিনেমার তরুণ প্রজন্ম ভুলতে বসেছে যে, ববি দেওল নামে কোনও নায়ক আজও আছে।

বলিউড থেকে তিনি যে হারিয়ে গিয়েছেন তা নিজেই স্বীকার করেছেন ববি।

জানিয়েছেন এই যন্ত্রণা এতটাই কঠিন যে তিনি একটা সময় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে বদলাতে না পারাটাই যে তাঁর সিনেমাটিক কেরিয়ারের মুখ থুবড়ে পড়ার কারণ তাও জানিয়েছেন ববি। স্ত্রী তানিয়াও নাকি বলেছিলেন, এই হতাশায় ববি আখেরে নিজেরই ক্ষতি করছেন। স্ত্রীর কথাও শোনেনি ববি।
আজ বুঝতে পারেন তিনি তাঁর কেরিয়ারে কতবড় সর্বনাশ হয়ে গিয়েছে।

সদ্য আন্তর্জাতিক এক সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে ববি এক পরিচালকের নামও নিয়েছেন। যাঁকে বিশ্বাসঘাতক বলেও অভিহিত করেছেন তিনি। ববি জানিয়েছেন ‘জব উই মেট’ সিনেমার জন্য ইমতিয়াজ আলি তাঁকে নায়ক নির্বাচিত করেছিলেন। সবকিছু ফাইনাল হয়ে গিয়েছিল। আচমকাই তিনি নাকি শোনেন ইমতিয়াজ ছবির শ্যুটিং শুরু করে দিয়েছেন। আর নায়ক হিসেবে করিনার বিপরীতে শাহিদ কপূরকে সই করিয়েছেন। ‘জব উই মেট’-এর শ্যুটিং শুরুর সময়েও করিনা ও শাহিদ প্রেমে ভাঙন আসেনি। ফ্লপ শাহিদকে হিট ছবির মুখ দেখানোটা করিনার কাছেও তখন বড় দায় ছিল। ইমতিয়াজ করিনার দাবি মেনে নিয়েছিলেন। একজন পরিচালক অন্য একজন নায়কের সঙ্গে চূড়ান্ত কথা বলেও এমন কাজ কীভাবে করেন তা ভেবে আজও মনে মনে ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েন ববি দেওল। অথচ, ২০০১ সালে ‘আজনবি’ সিনেমায় অখ্যাত করিনাকে নায়িকা হিসেবে মেনে নিতে অস্বীকার করেননি তখনকার স্টার নায়ক ববি দেওল। ইমতিয়াজকে তাই তিনি ‘প্রতারক’ বলেই মনে করেন।

বর্তমানে প্রায় ৫০ ছুঁইছুঁই বয়স ববির। চেহারায় সেই ‘ফ্ল্যামবয়েন্ট লুক’ আর নেই। দেখে এখন অনেকটাই বয়স্ক মনে হয়। হতাশা ববির নায়কোচিত চেহারাকে আরও নষ্ট করে দিয়েছে। তবু, বলিউডে কামব্যাক করতে চান ববি। স্টারডমে ফের ডুবতে না চাইলেও তাঁর ইচ্ছে ভাল অভিনেতা হিসাবে ছাপ রেখে যাওয়া। তাই ‘পোস্টার বয়েজ’ নামে একটি ছবিতে অন্যতম মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছেন ববি। এই ছবিতে তাঁর সঙ্গে দেখা যাবে সানি দেওল এবং শ্রেয়স তালপাড়েকে।-এবেলা



মন্তব্য চালু নেই