শান্তিনগরে শান্তি ফিরবে কবে?
নামে শান্তিনগর হলেও বর্ষা মৌসুমে শান্তিতে নেই এই এলাকার মানুষ। একটু বৃষ্টিতেই রাজধানী ঢাকার ব্যস্ততম এই এলাকাটির রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যায়। আর অতিবৃষ্টি হলে তো কথাই নেই। গোটা এলাকা চলে যায় পানির নিচে।
শান্তিনগরে কবে শান্তি ফিরবে সেই প্রশ্ন এখনকার বাসিন্দাদের।
শান্তিনগর এলাকার এই সমস্যা দীর্ঘদিনের হলেও এর সমাধানে নেই তেমন কোনো উদ্যোগ। বিষয়টি নিয়ে ওই এলাকার সব শ্রেণি-পেশার মানুষ ক্ষুব্ধ। তবে এই ক্ষোভের কথা কানে যায়নি দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কর্তাব্যক্তিদের। এমন অভিযোগ এখানকার বাসিন্দাদের।
এদিকে বৃষ্টির কারণে শুধু শান্তিনগরে দুর্ভোগ থেমে থাকেনি, তা ছড়িয়ে পড়েছে কাকরাইল, নয়াপল্টন, মালিবাগ মোড়, মৌচাক হয়ে মগবাজার পর্যন্ত।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে টানা কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টির কারণে যে দুর্ভোগ শুরু হয়েছিল তা শেষ হতে বিকাল গড়িয়েছিল। এরই মধ্যে বুধবার সকালের টানা বৃষ্টিতে আবার নতুন করে ভোগান্তিতে পড়েন এসব এলাকার মানুষ। দেখা গেছে, বৃষ্টির পানি ফুটপাত ছাড়িয়ে কোথাও কোথাও রাস্তার পাশের দোকানে ঢুকে গেছে। পানিতে আটকে গেছে যানবাহন। সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছে এই এলাকার বেশ কয়েকটি বড়বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ড্রেনেজ ব্যবস্থা ঠিক না হওয়া এবং বর্ষা মৌসুমে রাস্তা খোড়াখুড়ির কারণে দুর্ভোগ বাড়ছে।
গত জুলাই মাসে শান্তিনগর এলাকার জলাবদ্ধ এলাকা পরিদর্শনে এসে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন দুর্ভোগের জন্য ওয়াসা কর্তৃপক্ষকে দায়ী করে দ্রুত পানি নিষ্কাশনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন।
কিন্তু মেয়রের নির্দেশের পরও কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। তাদের প্রশ্ন, কবে শান্তিনগর ও আশপাশের এলাকার মানুষ কবে দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাবে।
এদিকে, বুধবার মেয়র সাঈদ খোকন একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে জানিয়েছেন, আগামী বৃষ্টির মৌসুম আসার আগেই শান্তিনগরের জলাবদ্ধতা দূর হবে। তবে তার এই কথায় আস্থা রাখতে পারছেন না অশান্তিতে থাকা শান্তিনগরের বাসিন্দারা।
মন্তব্য চালু নেই